BTRC-র ‘ডাইনি শিকার’ অভিযান প্রসঙ্গে নবযুগ ব্লগের বক্তব্য

19 মতামত পাওয়া গেছে

অনলাইনে যারা ‘মডারেট’ মুসলিম তারা বলবেন, উগ্র নাস্তিকতা খারাপ এবং নবযুগ ব্লগে আসলে নাস্তিকরা লেখেন না, লেখে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ রা। তাই তাদের কাছে নবযুগ টাইপের ব্লগের বাকস্বাধীনতার মূল্য নেই।

নবযুগ যে ব্লগারদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কাউকে না দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে তাতে আমি খুব খুশী। আশা করি কোন হুমকি ধমকি কন্ঠরোধ করতে পারবে না মুক্তমনাদের। ইসলাম হোক আর হিন্দু হোক, ধর্মের অসংগতি গুলো দেখিয়ে দিতে থাকবে। যারা অতি সংবেদনশীল,তাদের আহত হওয়া বন্ধ করা সম্ভব না। তারা মোহামম্দ বেড়ালেও আহত হবে, মোহাম্মদের কার্টুনেও আহত হবে। বরং এই অতি নাজুক অংশকে বেশি করে আহত করে সহ্য ক্ষমতা বাড়ানোই উচিত। জারি থাকুক নবযুগের বিপ্লব।

বাংলাদেশের সরকার আস্তিক নাস্তিক সংকটে পড়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। আর যাইহোক এখনও বাংলাদেশের পরিবেশ এমন হয় নি যে কোন সরকার এ ধরনের সংকটকে পাশ কাটাতে পারে যেখানে ৯৯% মানুষই কঠিনভাবে ধর্মীয় অনুভুতি দ্বারা আক্রান্ত। তবে কার কার খোঁজ খবর সরকার নিতে চাইছে এ ব্যপারে কারও কোন তথ্য জানা আছে?

প্রয়োজনে আপত্তিকর মন্তব্যকারী ব্লগার ও ফেইজবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেও বিচার করতে পারে বলে জানান আবু আহমেদ জমাদার।

বাংলাদেশ যখন কলমে লেখা সন্ত্রাস হিসেবে বিবেচ্য, তখন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না দেশটি কোন যুগে বাস করছে?

    আসলে ওরাই ভয় পেয়েছে। ওদের তাই টনক নড়েছে। কিন্তু সরকারের অবস্থান দুঃখজনক। আসলে দেশটা যাচ্ছে কোন দিকে? কী সব আউলা-ঝাউলা নাম দিয়ে বিচার করবে বলছে। এইগুলো কী যুদ্ধাপরাধীদের আড়াল করার কৌশল নয়?

      যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গোল্লাইছে নিঃসন্দেহে। সরকার এখন আগামী নির্বাচন বাচাতে ব্যস্ত। সে জন্যেই নাস্তিকদের বিচার এখন ‘প্রাইমারী কনসার্ন’ …তবুও যদি শেষ রক্ষা হয়!

বি,টি,আর, সি খামখাই হুমকি দিচ্ছে। বিশ্বের বৃহৎ বৃহৎ শক্তি যেখানে পারছে না অবাধ তথ্য ও তথ্যপ্রবাহকে রোধ করতে সেখানে বি,টি,আর, সি বিড়ালের মত মিউ মিউ করে প্রমাণ করল যে কী ধরনের মস্তিষ্ক নিয়ে কাজ করছে। আর এইসব ব্লগারদের হাত পা কেটে দিলে, আর ব্লগ বন্ধ করে দিলে যে আওয়ামী লীগ নিজেরই ক্ষতি করবে তা কী তারা জানে না? কারণ এইসব ব্লগ এবং ব্লগাররা শতকরা ৯০ ভাগই আওয়ামী লীগের সমর্থক-প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে। নবযুগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে– একটুখানি মেরুদণ্ড দেখানোর জন্য।

// বাংলাদেশে এক কোটিরও বেশি নাস্তিক এবং দুষ্ট লোক আছে। //

আজকের খবর- গণমঞ্চ থেকে এক কোটি স্বাক্ষর জমা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বিরোধী দলের নেত্রী বলছেন- গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যারা জড়িত তারা সবাই নাস্তিক, মুরতাদ, বখাটে। কী আশ্চর্য! বাংলাদেশে এখন নাস্তিক, মুরতাদ, গিজগিজ করছে। আলহামদুলিল্লাহ! সুবহানআল্লাহ। মারহাবা।

এখন বি,টি,আর,সি কী করবে? এই এক কোটি নাস্তিকের গর্দান কাটবে?

    বাংলাদেশে এক কোটিরও বেশি নাস্তিক এবং দুষ্ট লোক আছে।
    হাদিসে আছে দুনিয়াতে কাফির মুরতাদ বেড়ে যাওয়া হলো কিয়ামতের লক্ষণ। বাংলাদেশের মত একটা ৯০% মুসলমান অধ্যুষিত দেশে যখন এত বেশী নাস্তিক মুরতাদের সৃষ্টি হয়ে গেছে, বোঝা যাচ্ছে, কেয়ামতের বেশী দেরী নাই। তাই আসুন সবাই মিলে তওবা করে কিয়ামতের মাঠের পুল সিরাত পার হওয়ার ধান্ধা করি। আচ্ছা, এ পুল সিরাত কি কিয়ামতের মাঠের মধ্যেই থাকবে? হাদিসে তো আবার দেখি বাটখারা দিয়ে আল্লাহ প্রতিটি মানুষের পাপ পূণ্যের বিচার করার পর পাপীদেরকে জাহান্নামের আগুনে ছুড়ে ফেলে দেবে আর পূণ্যবানদেরকে পাঠাবে হুর ভর্তি বেহেস্তে। তাহলে পুলসিরাতের বন্দোবস্তটা কোথায়?

সরকার যেসব ব্লগারের গর্দান কাটবে, তাদের একটা লিস্টঃ

আরিফুর রহমান, মনির হাসান, বৃত্তবন্ধি, সবাক, শয়তান, মনজুরুল হক, কখগ, রাসেল, নাস্তিকের ধর্মকতা, দূরের পাখি, আরিফুল হক তুইন, তিতি আনা, নাজিম উদ্দিন, আলমগীর কুমকুম, ফরহাদ ইদ্দন স্বপন, দুস্যবনহুর, ফারহানা আহমেদ, ঘনাদা, রাহান, অন্যকেউ, পাপী০০৭, হোরাস, প্রশ্নোত্তর, ভালমানুষ, ভন্ডপীর, বৈকুন্ঠ, সত্যান্বেষী, পড়–য়া, হাল্ক (সানাউল) বিপ্লব০০৭, রাস্তার ছেলে, ঘাতক, বিশাল বিডি, সাহোশি৬, লাইটহাউজ, মমতা জাহান, রাতমজুর, কৌশিক, মেঘদুত, স্বপ্নকথক, প্রায়পাস, আহমেদ মোস্তফা কামাল, লুকার, নুহান, সোজাকথা, ট্রানজিষ্টার, দিওয়ান, রিসাত, আমি এবং আধার, অরন্যদেব, কেল্টুদা, আমি রোধের ছেলে, ভিন্নচিন্তা, আউটসাইডার ও প্রণব আচার্য।

এছাড়া এ তালিকার বাইরে যেসব ব্লগারের নাম জমা দেয়া হয়েছে তারা হলেন: আসিফ মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন, অন্য আজাদ, অনন্ত বীজয় দাস, আশীষ চ্যাটানজি, অভিজিত রায়, বিপ্লব কান্তিদে, দাড়িপাল্লা ধমা ধম, নিতাই ভট্রাচার্য, ইব্রহীম খলিল সবাগ, (সুমন সওদাগর) কৈশীক, আহমেদ, নুরনবী দুলাল, পারভেজ আলম, রাজিব হায়দার শোভন (থাবাবাবা), রতন (শন্যাসী, সৈকত চৌধুরী, শর্মী আমিন, সৌমিত্র মজুমদার (সৌম্য), আল্লামা শয়তান, (বিপ্লব) শুভজিদ ভৈৗমিক, সুমিত চৌধুরী, সৈকত বড়ুয়া, সুব্রত শুভ ও সুসান্ত দাস গুপ্ত। (সূত্র)

আর যেসব ব্লগের বাকযন্ত্র কেটে দেওয়া হবে, সেগুলোর তালিকাঃ

সামওয়্যার ইন ব্লগ, আমার ব্লগ, মুক্তমনা, নাগরিক ব্লগ, ধর্মকারী, নবযুগ, সচলায়তন, চুতরাপাতা ও মতিকণ্ঠ। (সূত্র)

    লিস্ট দেখলাম। মোল্লারা আমাদেরকে তওবা’ করার সুযোগ দিয়েছে।

    আর সরকারের আমলারা হেঁ হেঁ করে মোল্লাদের কদমবুসি করছে আর বলেছে ‘তওবা’ না করলে অথবা তওবা করে পুনরায় কূকর্মে লিপ্ত হলে কঠোর সাজা দেওয়া হবে।

    এদিকে এক কোটি মুরতাদদের কী করা হবে তা সরকার জানায়নি।

    হাসিনা সরকার এখন মোল্লাদের শ্লেষ্মা চাটছে। এই না হলে ধর্ম-নিরপেক্ষ বাংলাদেশ!

      লিস্ট দেখলাম। মোল্লারা আমাদেরকে তওবা’ করার সুযোগ দিয়েছে।

      লিস্টে আপনার নাম দেখলাম। কবে তওবা করবেন বলে ঠিক করলেন ? এর কি কোন দিন ক্ষন ঠিক করে দিয়েছে নাকি ? এ ব্যপারে তো কিছুই শুনলাম না।

      তবে আপনারা আসলেই অকৃতজ্ঞ। কারন , আপনাদেরকে যে তওবা করার সুযোগ দিয়েছে এটাই তো বিরাট মহত্ব তাদের। তারা তো সোজা কল্লাটাও চাইতে পারত। সেটা অন্তত: স্বীকার করুন।

      আচ্ছা তারপরেও ডাকসাইটে মুরতাদদের কল্লার দাম ঠিক করেছে নাকি ? জীবিত বা মৃত ? এ বিষয়ে কিছু জানা আছে ?

      হে হে এইটাই ত কথা–তওবা করলেই কি আর না করলেই বা কি। সরকার কিছু না করলে–ওরাই বিচারের ভার হাতে নিয়ে নিবে। অর্থাৎ, ফতোয়া জারী করে দিবে। আর ওদের সহযযোগী যথা, আনসারুল ইসলাম, বাব ইসলাম, হারাকাতুল জিহাদ। লস্করই তোয়বা, আল-কায়েদা, হুজি…এই সব সংগঠন হত্যা করায় নেমে যাবে। বিশ্বব্যাপি তারা খুঁজবে এই মুরতাদদের। তারপর, আর কি লিখব!

      আসলে আমাদের সরকারের মেরুদণ্ড বলতে তেমন কিছু নেই। লুটপাটের রাজনীতিই তাদের একমাত্র মন্ত্র। এদের কাছ হতে কোন প্রকার সহায়তা বা রক্ষা পাবার আশা বৃথা।

আমার ব্লগ তো দেখলাম কোন পোষ্টে ইসলাম বা নাস্তিক এ শব্দ দুটো থাকলেই সে লেখকের আই ডি ব্লক করে দিচ্ছে আর লেখা মুছে দিচ্ছে। ভয় পেয়ে ইদুরের গর্তে ঢুকেছে মনে হচ্ছে।

    আমার ব্লগ তো দেখলাম কোন পোষ্টে ইসলাম বা নাস্তিক এ শব্দ দুটো থাকলেই সে লেখকের আই ডি ব্লক করে দিচ্ছে আর লেখা মুছে দিচ্ছে। ভয় পেয়ে ইদুরের গর্তে ঢুকেছে মনে হচ্ছে।

    আমার মনে হচ্ছে ‘আমার ব্লগ’ আমার ব্লগ ভাবেই চলছে। বেশ কিছু নাস্তিক আর মোর্তাদদের লেখা দেখলাম।

      আমার ব্লগ সরকারের কথায় কান দেবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে। তবে ওটা আওয়ামী কর্মীদের ব্লগ। কাজেই লেখার বিষয়বস্তুর উপর কিছুটা টাইট দিতে পারে অন্তত কিছু সময়ের জন্য।

আজকের সংগ্রামে দেখলাম ১ কোটি ৭ হাজার ৬৬টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে গণমঞ্চ।
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=112786

সংগ্রাম লিখেছে এই ১ কোটির অধিক বাঙালিরা সবাই হচ্ছে নাস্তিক।

কি তাজ্জব ব্যাপার! গত ৩৮ দিনে (গণস্বাক্ষর জমার দিন) এক কোটিরও বেশী নাস্তিক চারাগাছের মত গজিয়ে উঠল। আর বাংলাদেশ সরকার হাবা বাবা হয়ে বসে থাকল!

মারহাবা। বাংলার সকল নাস্তিক ও মুর্তাদ এক হও।

অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

দুনিয়ার নাস্তিক এক হও। নাস্তিক ঐক্য জিন্দাবাদ। শুধু বাংলাদেশেই এক কোটিরও বেশি নাস্তিক। সংখ্যাটা কম নয় ! তাহলে সারা বিশ্বে সংখ্যাটা কত ? আমরা সংখ্যালঘু হলেও দুর্বল নই মোটেই। ইতিহাস খুলে দেখুন সংখ্যালঘুরাই পৃথিবী শাসন করেছে। সমঝদার কি লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যায়।

এই লেখাটা তো সকলেরই পড়া উচিত। প্রথম পাতায় স্থায়ীভাবে এটা রাখার আবেদন জানিয়ে রাখলাম।


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।