মুসলমানরা সর্বান্তঃকরণ দিয়ে মোহাম্মদকে ভালবাসেন এবং তাকে অনুসরণ করেন। কারণ তাদের ধর্মগ্রন্থ হাদিস ও কোরআনে এ ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে মোহাম্মদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। পরকালে স্বর্গের লোভনীয় অফার এবং নরকের ভয়ঙ্কর শাস্তির ভয় দেখিয়ে মোহাম্মদকে অনুসরণ করার জোর তাগিদ দিয়েছেন তার আল্লাহ। কোরআনের সূরা আযহাব এর ২১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
‘যারা আল্লাহ ও শেষ বিচারের আশা রাখেন এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করেন, তাদের জন্য মোহাম্মদের মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ।’
কিন্তু মোহাম্মদের সঠিক চরিত্র যদি তুলে ধরা হয়, এবং নিরপেক্ষ মনন দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়, তাহলে সহজেই বোঝা যাবে আসলে মোহাম্মদ কতটা ভয়ঙ্কর, কতটা সন্ত্রাসী ও লোভী প্রকৃতির মানুষ ছিল। শিশু ধর্ষণ ও নারী ধর্ষণ থেকে শুরু করে মানবতা বিরোধী হেন কোনো অপরাধ ছিল না যা মোহাম্মদ করে নাই। অনেক মুসলমান আছেন যারা জেনে বুঝে মোহাম্মদকে অনুসরণ করছেন, যেমন আল কায়দা ও আইএস। তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র মোহাম্মদের সঙ্গে যথাযথভাবে মেলে। আবার অনেক মুসলমান আছেন, যারা ঠিকমত না জেনেই তাকে অনুসরণ করছেন। তারা যদি মোহাম্মদের আসল চরিত্র জানতে পারেন, তাহলে হয়ত অনেকেই তার প্রতি ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেবেন। আমি এই লেখায় মোহাম্মদের মানবতা বিরোধী অপরাধের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরব। লেখাটি লুই পামের, ‘মোহাম্মদ এন্ড হিজ ক্রাইম এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ শীর্ষক প্রবন্ধের ছায়া অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। নিবন্ধটি পাঠ করার আগে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিষয়ে একটা ধারণা আগে নেওয়া যাক।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কীভাবে সংঘটিত হয়?
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সংজ্ঞা দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, এটা এমন একটি অপরাধ, যা সুনিদ্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাঠামোবদ্ধভাবে এবং ব্যাপকহারে কোনো বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর জেনে বুঝে সরাসরি সংঘটিত হামলা। এই হামলায় কোনো জনগোষ্ঠীকে হত্যা করা, উচ্ছেদ করা, দাসত্ব বরণে বাধ্য করা, জোরপূর্ব্বক স্থানান্তর করা, বন্দি করা, নির্যাতন করা, ধর্ষণ করা, যৌন দাসত্বে বাধ্য করা, পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা, গর্ভধারণে বাধ্য করা, নিবীর্যকরণে বাধ্য করা এবং তাদের ওপর যে কোনো ধরণের যৌন সহিংসতা সংগঠিত করাকে বুঝায়। জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে কোনো চিহ্নিত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিগ্রহ শুরু করা, জোর করে বন্দি করা, তাদের গুম করা, একটা জাতিকে সমূলে উচ্ছেদ সাধনে সচেষ্ট হওয়াকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত করা যায়। অন্য কোনো অপরাধের ক্ষেত্রেও যদি একই ধরণের অমানবিক ক্রিয়া সংঘটিত হয়, যার দ্বারা তীব্র পরাভোগ কিংবা গুরুতর শারীরিক ও মানসিক আঘাত সৃষ্টি করে, তাকেও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা চলে। এই হল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন।
এখন নজর দেওয়া যাক পয়গম্বর মোহাম্মদের দিকে। মানবতার বিরুদ্ধে যতগুলো অপরাধ রয়েছে, তার সব কয়টি অপরাধ করেছিলেন ইসলামের এই নবি মোহাম্মদ। সুনিদ্দিষ্টভাবে তার সব কয়টি অপরাধেই অপরাধী তিনি। তার জীবনী রচয়িতাগণ এসব কথা খুব গর্বের সঙ্গেই উল্লেখ করে গেছেন। মোহাম্মদের এধরণের স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত জীবনী লেখকদের মধ্যে ইবনে ইসহাক অন্যতম। তার রচিত মোহাম্মদের জীবনী থেকেও এসব তথ্য পাওয়া যায়। আর মোহাম্মদের মানবতাবিরোধী অপরাধ এ যুগে সংঘটিত হলে কী হত? নবি কিংবা নেতা হিসেবে মান্য করাতো দূরের কথা, রীতিমত তার বিচার দাবিতে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ পড়ে যেত। যেমন বাংলাদেশে কাদের মোল্লা সহ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে ব্যাপক গণজাগরণ শুরু হয়েছিল।
এ যুগে ওইসব অপকর্ম করলে নিশ্চিত মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পুরে রাখা হত। এমনকী নিকৃষ্ট গণতন্ত্র রয়েছে যে সব দেশে, সেখানে থাকলেও তার একই দশা হত তার। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাকে সোপার্দ করা হত। সকল দেশের বিবেকবান ও মানবাধিকার কর্মীগণ তার বিচার দাবিতে আন্তর্জাতিক প্রচারণা শুরু করে দিতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতি ধিক্কারের ঝড় বয়ে যেত। তার অপরাধের ঘটনাগুলো তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হত। অপরাধের প্রামাণ্য ছবিগুলো ফেসবুক টুইটারে ভাইরাল হয়ে যেত। লোক সম্মুখে আসলে তার প্রতি ধিক্কারের থুথু ছিটাত মানুষ। জনরোষ থেকে বাঁচতে তাকে গুণ্ডাপাণ্ডা কিংবা পুলিশের সাহায্যে চলাফেরা করতে হত কিংবা তার আত্মগোপন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকত না।
এখানে মোহাম্মদের মানবতার বিরুদ্ধে সুনিদ্দিষ্ট অপরাধের সংক্ষিপ্ত খতিয়ান দেওয়া হল। যদিও তিনি ধারাবাহিক অপরাধের জনক। সবগুলো উল্লেখ করলে অনেক বড় লেখা হয়ে যাবে, তাই গুরুত্বপূর্ণ অপরাধগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল।
মোহাম্মদের সামগ্রিক জীবনী তুলে এনেছেন এফ ডব্লিউ বার্লে। তাঁর পূর্ব অনুমতি নিয়ে সেখান থেকে মোহাম্মদের জীবনের কিছু কিছু ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হবে। তার বইটির নাম ছিল: ‘ইট ওয়াজ অল এবাউট মোহাম্মদ-অ্যা বায়োগ্রাফী অফ দি ওর্য়াল্ড মোস্ট ফেমাস নটোরিয়াস প্রফেট’। বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোহাম্মদ: পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট নবির সামগ্রিকজীবনী’।
খুন ও হত্যা
৬২৪ সালে যখন আসমা বিনতে মারওয়ান নামে এক কবি মোহাম্মদকে ব্যাঙ্গ করে একটি কবিতা লিখেছিলেন তখন তিনি কৌতুক করে বলেছিলেন,
“তুমি একজন অপরিচিতের কথা মেনে চল, যে তোমার কেউ নয়। তুমি তার কাছ থেকে ভাল কী আশা কর, যখন সে তোমার নেতাকে হত্যা করে।”
এ কথা শুনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মোহাম্মদ বললেন,
‘কে আমাকে মারওয়ানের কন্যার কাছ থেকে পরিত্রাণ দিতে পারবে, বল?’
এসময় উমর রাজী হলেন। নাঙ্গা তলোয়ার হাতে তিনি সেই রাতেই দৌড়ে আসমার বাড়ি গেলেন। আসমার পাঁচজন সন্তান ছিল। সে সময় তিনি বিছানায় শুয়ে ছিলেন এবং কোলের শিশুকে দুগ্ধ পান করাচ্ছিলেন। এমন সময় উমরের সঙ্গে মোহাম্মদের সাঙ্গপাঙ্গরাও ছিল। তারা অতর্কিতে নিরস্ত্র ও অপ্রস্তুত নারীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। উমর এবং মোহাম্মদের হাত লাল হয়ে গেল একজন নিরাপরাধ নারীর রক্তে।
মোহাম্মদ যখন জানলেন, আসমাকে হত্যা করা হয়েছে, তখন তিনি সদম্ভে বলেছিলেন,
“এখন থেকে দুটো ছাগল আর তাকে গুতাতে আসবে না।”
মোহাম্মদের নির্দেশে সব মিলে অন্তত ৪৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
উৎসাদন
৬২৭ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় সর্বশেষ যে ইহুদি গোত্র টিকে ছিল, তার নাম বানু কোরাইয়া। একটি মিথ্যা অজুহাতে মোহাম্মদ সেই গোত্রের দুর্গ দখল করে নিয়েছিলেন, এভাবে ২৫ দিন আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত দুর্গ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর মোহাম্মদের নির্দেশে বানু কোরাইয়া গোত্রের লোকজনকে ধরে ধরে কতল করা শুরু হয়। তার তত্ত্বাবধানে এভাবে শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল অন্তত ৬০০ থেকে ৯০০ জনকে। সে যুগে ৯০০ জন কম কথা নয়। একটি পুরো গোত্র নিশ্চিহ্ন করতে ওই সংখ্যক লোককে হত্যা করাই যথেষ্ট ছিল। বানু কোরাইয়া নিধনযজ্ঞ চলে মদিনার জনবহুল স্থানে এবং স্বয়ং মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে। হত্যাকাণ্ডের পর নারী ও শিশুদের দাসে পরিণত করা হয়। এভাবে একটি পুরো গোত্রকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।
দাসত্ব
৬২৮ সালে মোহাম্মদ তার অনুসারীদের নিয়ে খায়বার নামে ইহুদিদের একটি নগরে আক্রমণ করে। ওই নগর ছিল মদিনা থেকে ১০০ মাইল উত্তরে। হামলায় নগরপ্রধান খানানা সহ ৯০ জন পুরুষকে হত্যা করা হয়। যারা সকলেই প্রতিরোধ করতে এসেছিল। এরপর মোহাম্মদ নগরপ্রধান খানানা’র স্ত্রী সাফিয়াকে আটক করেন। মোহাম্মদ ওই রাতেই সাফিয়াকে যৌনদাসী হিসেবে নিজ বিছানায় নিয়ে আসেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর সাফিয়াকে বিয়ে করার এবং ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঘরে একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদের বহু যৌনদাসী এবং রক্ষিতা ছিল।
জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর
মদিনার দুই ইহুদি গোত্রকে নগর পরিত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বানু কাইনুকা এবং পওে ৬২৬ সালে বানু আল নাদিও গোত্রকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু গৃহপালিত পশু ছাড়া আর কোনো কিছুই তাদের সঙ্গে নিতে দেওয়া হয় নাই। এবং তাদের ছেড়ে যাওয়া ধন সম্পদগুলো মুসলমানরা লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি তাদের পাম গাছগুলোও কেটে ফেলা হয়।
বন্দিত্ব ও মুক্তিপণ
৬২৪ সালে নাকলা অঞ্চলে সফল অভিযানের পর সেখানে যারা আটক হয়েছিলেন, তাদের মোটা অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু প্রতিশোধের জন্য তাদের আটক করা হয়নি, বরং মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই আটক করা হয়েছিল। এটা নিশ্চিত করার জন্য মোহাম্মদ তার তৈরি কোরআনের আয়াত নাজিল করেন। সূরা আন ফাল এর ৬৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
‘কোনো নবির পক্ষেই বন্দিদের নিজের পক্ষে রাখা উচিত নয়, যতক্ষণ না হত্যা করে তাদের রক্তে দেশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর আর আল্লাহ কামনা করেন পরকাল। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী ও সর্বজ্ঞানী।’
অর্থাৎ বন্দিদের নিজের কাছে রেখে সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়নি।
নির্যাতন
খায়বার অঞ্চলে একটি ইহুদি গোত্রের নিয়ন্ত্রাধীন একটি মরুদ্যান ছিল। ওই গোত্রের প্রধানের নাম ছিল কিনানা। ৬২৮ সালে সেখানে আক্রমণ পরিচালনা করেন মুসলমানরা। ওই গোত্রের গোপন সম্পদের সন্ধান পেতে মোহাম্মদের নির্দেশে তাদের গোত্র প্রধানের ওপর নির্যাতন শুরু করা হয়। মোহাম্মদ তার অনুসারিদের হুকুম দিলেন, কিনানার বুকে আগুন ধরিয়ে দাও। যতক্ষণ তাদের সোনাদানা সহ গোপন সম্পদের অবস্থান বলে না দেয়। এভাবে নির্যাতন চলতে থাকার এক পর্যায়ে কিনানা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর কিনানার মাথা কেটে ফেলার জন্য তার মৃতদেহ মোহাম্মদ বিন মাসলামার হাতে তুলে দেন। মৃত্যুও পরও এভাবেই জিঘাংসা চরিতার্থ করে গেছেন মুসলমানদের দয়াল নবি।
শিশু ধর্ষণ
যখন মোহাম্মদের বয়স ৫৩, তখন তিনি আয়েশার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। তখন আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। তখনও সে শিশু। বর্তমানের বিবেচনায় তৃতীয় কিংবা বড়জোর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হত। তখন আয়েশার পুতুল খেলার বয়স। সে সহপাঠিদের সঙ্গে দোলনায় দোল খেত। মোহাম্মাদের ঘরে বউ হয়ে এসেও সে সব সময় পুতুল খেলত আয়েশা। আর মুসলমানদের দয়াল নবি ওই শিশুর সঙ্গেই জোর করেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। এই নবি একজন শিশু ধর্ষক।
নির্যাতনেও মেলে ধর্মের স্বীকৃতি
মোহাম্মদ তার কোরআনে দাবি করেছেন, ইহুদি সম্প্রদায়ে একটি গোত্র থেকে নাকী বানর প্রজাতির উৎপত্তি হয়েছে। এটা ছিল নাকী তাদের পাপের ফল। সূরা আরাফ এর ১৬৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
‘আর যখন তাদের মধ্য থেকে এক সম্প্রদায় বলল, কেন সে লোকদের সদুপদেশ দিচ্ছেন, যাদের আল্লাহ ধ্বংস করে দিতে চান কিংবা আযাব দিতে চান, কঠোর আযাব। সে বলল, তোমাদের প্রতিপালকের সামনে দোষ ফুরাবার জন্য এবং যেন তারা ভীত হয়।’
৬২৭ সালের দিকে বানু কোরাইয়া গোত্রকে মোহাম্মদ তার অনুসারীদের নিয়ে ঘিরে ফেলেছিল। তাদের ২৫ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। এসময় তাদের নারী ও শিশুরা নিদারুণ কষ্টে আর্ত চিৎকার করছিল, তখন মোহাম্মদ তাদের উপহাস করে বলতে থাকেন। ‘হে বানরের বংশধর, আল্লাহ তোমাদের অপদস্থ করেছেন এবং তোমাদের ওপর তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন।’ শেষমেশ ওই ইহুদি গোত্রের সকলেই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। শুধু ইহুদি হওয়ার কারণেই তাদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।
গুম
শত্রুদের সঙ্গে মুসলমানরা কীরকম ব্যবহার করবে-কোরআনে তার নির্দেশনা দেওয়া আছে। যেমন সূরা আল মায়েদাহ এর ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
‘যারা আল্লাহ ও তার রসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে এবং দেশব্যাপী হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে, তাদের শাস্তি হচ্ছে তাদেরকে হত্যা করা, ক্রুশবিদ্ধ করা অথবা হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেওয়া অথবা দেশ থেকে বের করে দেওয়া। এটা হল তাদের পার্থিব শাস্তি, পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।’
লক্ষ করুন, মোহাম্মদের সঙ্গে একমত না হলেই তার জন্য তার আল্লাহর কত ক্ষোভ। মতে না পড়লেই তাকে হত্যা করা হবে, ক্রুশে বিদ্ধ করা হবে, হাতপা কেটে ফেলা হবে, তাতেও খেদ মিটবে না, দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটাই শেষ নয়, এটা হল ইহকালের শাস্তি, আর পরকালেও নাকি আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। হায়রে প্রতিশোধপরায়ণ আল্লাহ!
জাতি বিদ্বেষ
মৃত্যুর আগে অনুসারীদের প্রতি বিদায় হজের ভাষণে মোহাম্মদ বলেছেন,
‘আরবভূমি থেকে কাফের মুশরিকদের বের করে দাও। সেখানে যাতে খ্রিস্টানদের কোনো গির্জা এবং ইহুদিদের কোনো উপাসনালয়ের অস্তিত্ব না থাকে। যেন অমুসলিমদের কোনো প্রবেশাধিকার না থাকে। মক্কায় কাফের ও মুশরিকদের কোনো প্রবেশাধিকার নাই।’
নিজদেশে ভিন্ন সম্প্রদায়ের ও ধর্মের অস্তিত্ব মানছেন না মোহাম্মদ।
শারীরিক ও মানসিক পীড়ন
মোহাম্মদের পালিতপুত্র ছিল জায়েদ বিন হারিথা। সে ছিল মোহাম্মদের খুবই বিশ্বস্ত অনুচর। একবার বানু ফাজারা গোত্রের ওপর মোহাম্মদের নির্দেশে হামলা চালাতে গিয়ে তার বেশ কিছু অনুচর নিহত হন। জায়েদ আহত হন। এক পর্যায়ে জায়েদ সুস্থ হয়ে উঠলে একটি বড় বাহিনীসহ মোহাম্মদ জায়েদকে ফের পাঠালেন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। এসময় তারা ওই গোত্রের মালিকের বৃদ্ধ স্ত্রী উম্মে কিরফাকে আটক করে নিয়ে আসে। তারা কুরফার দুই পা দুই উটের সঙ্গে বেধে মাঝখান থেকে তাকে দুই ভাগ করে চিরে ফেলে। এটা হল দয়াল নবির বীভৎসতা। মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত এই অপরাধ, যা মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থে সুস্পষ্টভাবে বিবৃত রয়েছে, কোনো মুসলমান কী কখনো সেটা অস্বীকার করতে পারবে? কেউ কেউ ওই অপরাধকে আড়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘সেটা ছিল ভিন্ন বাস্তবতা, সময়টা ছিল ভিন্ন’। কিন্তু ইসলামের সত্যিকারের বিশ্বাসীরা যেমন আল-কায়দা, আইএস, তালেবানরা কিন্তু মোহাম্মদের এসব কার্যকলাপকে সমর্থন করেন।
মোহাম্মদের এসব অপকর্মকে তারাই সত্যকার অর্থে অনুসরণের চেষ্টা চালায়। মোহাম্মদের দ্বারা অনুপ্রেরিত হয়েই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে আল কায়দা ও আইএস। সুতরাং আজকের পৃথিবীতে, মুসলমানদের এটা বুঝতে হবে আসলে মোহাম্মদ কে? কী তার চরিত্র? সভ্যতায় তার উত্তরাধিকার কী? আজকের মুসলমানদের এসব বিষয় খুব গভীরভাবে ভাবতে হবে।