১৫৬৯ বার পঠিত
কিছু দিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম বেড়াতে, এর মধ্যে একটা বিয়ের দাওয়াত পেলাম৷ জেনে অবাক হয়েছিলাম যে চৌদ্দ বছরের মেয়ের বিয়ে হচ্ছে এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে। কনে আমার দূর সম্পর্কের নাতনি। আর আরো অবাক হয়েছিলাম এটা জেনে যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে জেলা জজ কোর্টে। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে গ্রামের কাজি পড়াবে না।
যাহোক বিয়ে তো হয়ে গেলো। আড়াই দিনে মেয়ে বাপের বাড়ি নাইওর এলে দেশের প্রথা মেনে বাসর বা বরশয্যা দেয়া হলো। সকালে মেয়ে কোনোক্রমে ঘরের বাইরে এসেই অচেতন হয়ে পড়ে। কোনোক্রমে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও আমরা বিস্তারিত জানি পরে।
চৌদ্দ বছরের মেয়ে বত্রিশ বছরের পুরুষের বউ হয়েছিলো। বউ মানে কেবলমাত্র অঙ্কশায়ীনী যে নয় তা এই স্বামী নামধারী পাষন্ডকে কেউ শেখায় নাই। বস্তুত এই পুরুষ পুঙ্গবটি স্বামী হলেও সে ধর্ষক। আর মেয়েটি চৌদ্দ বছরের কিশোরী হলেও কামকলা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ। অথচ আমার ভাবতে বিস্ময় জাগে হিমালয় দূহিতা গৌরী যখন মহাদেবের স্ত্রী হলেন তখন তাঁর বয়স নয় বছর। আয়েশা যখন মুহাম্মদের ঘরে এলেন তখন তাঁরও ঐরকমই বয়স। আর ইসলাম ধর্ম মতে মেয়ের বয়স বছর পনেরোর আগেই সারতে হবে বিয়ে। কন্যা শিশু সাবালিকা হয় তার ঋতুস্নান শুরু হলে৷ কাজেই এর আগেও বিয়ে হয়। তখনো হতো এখনো হয়৷ উপমহাদেশ জুড়ে আবহমানকাল ধরে গৌরীদানের প্রথা ছিলো যা আজো বিলুপ্ত নয় বরং চলমান।
বস্তুত পৃথিবীর কমবেশী সব ধর্মই নাবালিকার সঙ্গে সঙ্গমকে বৈধতা দেয়। ডাক্তারি শাস্ত্র যদিও এরকম পেরি পিউবার্টিতে বিয়ে সমর্থন করে না। তবু ধর্ম সমর্থন করে বলেই সারা পৃথিবীতে আজো নাবালিকার সাথে সঙ্গম এতো জনপ্রিয়।
সারা পৃথিবীতেই যে কারণে নারী ও শিশু পাচার অপ্রতিরোধ্য। বহু পুরানা প্রচলিত মিথ আছে যে নাবালিকার সাথে সঙ্গমে পুরুষ যৌবনপ্রাপ্ত হয় তার হৃত যৌবন ফেরে। আবার পুরুষের যতরকমের যৌনসমস্যা, যৌনরোগ বা সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজ তা সেরে যাবে যদি সে নাবালিকার সঙ্গে যৌনসংসর্গ করে। সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন পড়ে দীপাবলির হাল দেখে হতচকিত হয়েছিলাম সেটা মনে আছে। ঐলেখায় দীপাবলির কিশোর স্বামীর শরীর শক্ত না হওয়া বা সেজন্য ঔষধ খাওয়া বিষয়টাই বোধের বাইরে ছিলো। যদিও তখন আমার বয়স ঊনিশ, তবু এতোটাই অপরিণত ছিলাম কি মনে কি শরীরে!! আমার ভাবতে অবাক লাগে নয় বছরের গৌরী কি করে ঐরকম একজন জবরদস্ত পুরুষ মহাদেব কে স্বামীত্বে বরণ করে নিলো। তার শরীর তো পুরুষের সঙ্গে কামকলার জন্য তখনো প্রস্তুতই হয় নাই। কলকাতার সোনাগাছিসহ আরো কিছু যৌনপল্লীর সম্পর্কে আর্টিকেলে জেনেছি তাদের কাছে নাবালিকা গণিকার চাহিদা সবসময়ই বেশী। নথভাঙার রেওয়াজ প্রচলিত প্রায় সব যৌনপল্লীতেই। অল্পবয়সী সঙ্গমে অনভিজ্ঞ বালিকার যোনিতে ভেজা শোলা স্হাপন করা হয় পুরুষাঙ্গের আকারে কেটে, যেন প্রথম সঙ্গমে সে আঘাত না পায়! আমি জানি না ধর্ম কেনো ঐরকম বয়সে বিয়েকে সমর্থন দেয়, বিয়ে মানে তো আর কেবল সঙ্গম না সঙ্গে আরো নানারকমের দায়িত্ব নিতে হয় কাঁধে। কিন্তু এই রকম বিয়ের প্রথম প্রহরেই যেসব মেয়ে এমন কঠিন অবস্থার স্বিকার হয় তার মন থেকে এই দাগ কোনদিন মোছে না।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন