১৭৯৭ বার পঠিত
বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করা এইসব সংস্থাগুলির মধ্যে মিল কোথায়?
আল কায়দা
আইসিস
হিজবুল্লাহ
হামাস
ফাতাহ
আল আকসা শহীদ ব্রিগেড
বোকো হারাম
আব্দুল্লা আজম ব্রিগেড
আবি নিদাল অর্গানাইজেশন
আবু সায়াফ
আদেন আবিয়ান ইসলামিক আর্মি
আলবদর
আল নূশরা ফ্রন্ট
আল শাবাব
আসনার আল শরীয়া
আনসার আল ইসলাম
আনসার আল দ্বীন
আর্মি অফ ইসলাম
গ্রেট ইস্টার্ন ইসলামিক রেডার ফ্রন্ট
হরকত উল জিহাদ আল ইসলামিক
প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্ট
ফিলিস্তিনী ইসলামিক জিহাদ
পপুলার ফ্রন্ট ফর লিবারেশন অফ ফিলিস্তিন অ্যান্ড তালিবান
সম্ভবত সকলেই জানেন যে অগণ্য ইসলামি জঙ্গী দলের মধ্যে এগুলি সামান্য কিছু সংগঠনেরর নাম। যাদের কাজ অমুসলিমদের খতম করা। নিজেদের বিশ্বাসের সঙ্গে সামান্যতম ভিন্নমত দেখলে এরা নামাজ-রোজা করা মুসলমানদেরও অমুসলিম হিসাবে গন্য করে এবং তাদের কোতল করায় কোনও দোষ দেখতে পায় না। এদের প্রত্যেকেরই মূল উদ্দেশ্য হল অস্ত্রের জোরে সমস্ত নামবজাতিকে শরিয়া আইনের অধীনে নিয়ে আসা। অবশ্য ‘বুদ্ধিমান মুসলিম’ ভাইয়েরা এদের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক স্বীকার করতে চান না।
জানেন কি, এইসব গ্রুপের মধ্যে মিল কোথায়?
Federation of Student Islamic Societies (FOSIS),
the Council on American-Islamic Relations (CAIR),
Muslim Association of Britain (MAB),
Muslim Council of Britain (MCB),
Muslim Aid,
Federation of Islamic Organisations in Europe (FIOE),
Institute of Islamic Political Thought,
Muslim Public affairs Council UK (MPACUK).
এরাও সেই মুসলিম ভ্রাতাদেরই শাখা যাদের ভূমিকা সম্পর্কে বলা হয়েছে- মহান জিহাদে সক্রিয় থাকা এবং অন্তর্ঘাতের দ্বারা শত্রুদের দুর্বল করে চলা, যতদিন না পশ্চিমা কালচারের বিলুপ্তি ঘটিয়ে সত্যধর্ম (ইসলাম) জয়যুক্ত হয়।
তথাকথিত সন্ত্রাসীদের মতই এদেরও মূল উদ্দেশ্য সেই একই। পদ্ধতি আলাদা হলেও এরাও চায় শরিয়া আইন সারা পৃথিবীতে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ করতে। যে আইনে নারীজাতিকে করা হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির পশুতূল্য এবং অমুসলিমদের রাখা হয়েছে তৃতীয় শ্রেণিভূক্ত হিসেবে। মুসলিম জাতি সবার ওপর প্রভূত্ব করবে এবং মুসলিম পুরুষরা আবার নারীদের ওপর প্রভূত্ব করবে, এটা সরাসরি কোরানের কথা। যেকোনও মুসলিমমাত্রই এই উদ্দেশ্যে কাজ করে, করতে বাধ্য থাকে। দেহত্যাগের পর বেহেস্তের টিকিট পেতে হলে এই কাজ বাধ্যতামূলক।
মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা এই কাজটি মগজধোলাইয়ের মাধ্যমে করে থাকে, বাংলাদেশে করে জামায়াতে ইসলামসহ অন্যান্য ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে আমরা তাদেরই জঙ্গী বলে গালাগালি করি যারা এই কাজটি অস্ত্রের দ্বারা করতে চায়। যদিও আপাতঃভাবে এই দুটি পথ পরষ্পরবিরোধী মনে হলেও ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ নিজেও প্রথমে ‘দাওয়াত’ অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ প্রচারের দ্বারা ইসলামের বিস্তার করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর যারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাঁর অনুগত হয় নি, তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিলেন। সহজ কথায়, সারা পৃথিবীর ওপর ইসলাম কায়েম করতে গেলে এমন কিছু মানুষ অবশ্যই পাওয়া যাবে, যারা প্রাণ গেলেও ইসলামের গোলামী কবুল করতে রাজি হবেন না। এইসব মানুষদের হত্যা করা ছাড়া ইসলামের সম্পূর্ণ বিজয় অসম্ভব। তাই জিহাদি জঙ্গীরা নিশ্চিতভাবেই ইসলামের মূল উদ্দেশ্যের সহায়ক শক্তি। মগজধোলাই যেখানে সফল হয়না, সেখানে তাদের মাঠে নামতেই হবে। মুসলিম ব্রাদারহুডসহ আন্তর্জাতিক মুসলিম সংগঠনগুলো তাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তখনই বেশি গলা ফাটায় যেখানে মুসলমানদের ক্ষতি হয়। যেখানে অমুসলিমদের ক্ষতি, সেখানে তারা সেভাবে আওয়াজ দেয় না। মূলত তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয় নিজেদের শান্তিপূর্ণ মগজধোলাই চালু রাখার স্বার্থেই। প্রকৃতপক্ষে শান্তিপূর্ণ উপায়ে লাইনে আনতে ব্যর্থ হলে জঙ্গী জিহাদের প্রয়োজনীয়তা কোনও মুসলিমের পক্ষেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কারণ তা কোরানে স্পষ্টভাবে লিখিত আছে এবং মুহম্মদ তাঁর সারাজীবন এই পথই অনুসরণ করেছেন। শান্ত মুসলিমরা কোনোভাবেই একথা অস্বীকার করতে পারে না। বস্তুত যারা জঙ্গী জিহাদের বিরোধীতা করে তারা আসলে মনে করে যে সময়টা যুদ্ধের জন্য সঠিক নয়। এমনকী তারা ধর্মত্যাগী মুসলমানদের হত্যা করার বিরুদ্ধেও কথা বলে। কারণ ‘ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়ার পথ নেই’ এ কথা প্রকাশ্যে এসে গেলে শান্তিময় মগজধোলাইয়ের দ্বারা অমুসলিম দেশগুলোয় ইসলামের প্রচার ব্যাহত হবে।
যেসব দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ অথবা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, সেখানের নিয়ম একেবারেই আলাদা। সেদেশের বিধর্মীরা যখন অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধার লোভেও ইসলামের ছায়াতলে আসবে না তখন তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করাটাই সবচেয়ে সহজ আর কার্যকরী উপায়।
এই রিপোর্ট ‘milestones to militancy’ অনুসারে শতকরা পঞ্চাশের বেশি জিহাদির সঙ্গেই তথাকথিত শান্ত মুসলিম গ্রুপের যোগাযোগ প্রমাণিত। এছাড়াও যেকোনো শান্ত মুসলিম গ্রুপের সঙ্গেই কয়েক ডজন জঙ্গী জিহাদি দলের যোগাযোগ রয়েছে। জিহাদিদের কাজকর্ম আদতে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করতেই সাহায্য করে। পশ্চিমাদেশের সরকারগুলি মনে করে এইসব শান্ত গ্রুপগুলির কাজকর্মে বাধা দিতে গেলে জিহাদিদের সক্রিয়তা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সেফটিভালভ তত্ত্ব অনুসারে তারা জিহাদি ইসলামের বিকল্প হিসাবে এই শান্তিপূর্ণ ইসলামকে মেনে নিতে বাধ্য হয়। এই সুযোগ নিয়ে গ্রুপগুলি যা করে তা জিহাদিদের উদ্দেশ্যের চেয়ে আলাদা কিছু নয়। দু’পক্ষই চায় শরিয়াহ আইনের বিস্তার, যে আইনে বিধর্মীরা নিকৃষ্ট জন্তুতুল্য এবং মুসলিম নারীরা হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি, বিবি পিটানো বৈধ, দাসব্যবসা অনুমোদিত এবং বহুবিবাহ পূণ্যকর্ম।
মূলত ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্মের চেয়ে আলাদা এই কারণেই যে, এতে বিধর্মীদের সঙ্গে মিথ্যাচারের স্বর্গীয় অনুমোদন রয়েছে। অর্থাৎ ইসলাম অনুসারে এক মুসলিম অন্য মুসলিমের সঙ্গে প্রতারণা করলে তা পাপ, কিন্তু বিধর্মীর সঙ্গে প্রতারণা করলে তা মোটেই পাপ নয়। এই নিয়মের ধর্মীয় নাম ত্বাকিয়া। এই অনুমোদন (ত্বাকিয়া) অনুসারে একজন বিধর্মীর কাছে সীমাহীন মিথ্যা বলা যাবে। তাই ইসলামে জিহাদির সম্মান সর্বোচ্চ হওয়া সত্বেও তারা দাবি করে ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম’।
মূলত মুহাম্মদ যখন মক্কায় ইসলাম প্রচারের সূচনা করেন, তখন তাঁর দলে এসেছিল সামান্য কিছু মানুষ। মক্কাবাসী বিধর্মীদের তুলনায় তারা ছিল নগণ্য ও দূর্বল। তাই মক্কায় ইসলামের যেসব নিয়ম রচিত (কোরানের আয়াত নাজিল) হয়েছিল তাতে শান্তির বাণীই পাওয়া যায়।
এরপর মুহাম্মদ যখন মদীনায় গিয়ে দস্যুদলের সর্দার হয়ে বসলেন, তখন তাঁর হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা পেয়ে যেসব নিয়ম চালু করলেন সেটা তাঁর ক্ষমতাবৃদ্ধির সাথে সাথেই শান্তির পরিমাণ কমতে শুরু করে। যুদ্ধের ক্ষমতা অর্জন করামাত্রই মুহাম্মদ ওরফে ‘আল্লাহ’ বিধর্মীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের পদানত করার আদেশ দিয়েছিলেন। সহিহ মুসলিমদের কাছে নবীর উদাহরণ অতুলনীয়। তাই পশ্চিমাদেশগুলোয় মুসলমানদের হাতে ক্ষমতা নেই বলেই তারা শান্তির পক্ষে কথা বলে। অন্যদিকে যেসব দেশে মুসলিমের হাতে ক্ষমতা এসে গেছে সেখানে বিধর্মীদের ওপর আক্রমণের শিক্ষা খোলাখুলিই দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে কোনও দেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হলে সেখানেও একই অবস্থার সৃষ্টি হবে। কারণ এটাই ইসলামের মূল উদ্দেশ্য।
শেষ করার আগে বলা দরকার যে ইসলাম যতো শান্তিপূর্ণভাবেই শেখানো হোক না কেন, তাতে এটাই শেখানো হবে যে জিহাদিরাই সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। অতএব ইসলাম প্রচার মানেই জিহাদি সৃষ্টি করা।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
আগস্ট ৬, ২০১৫; ২:০৯ পূর্বাহ্ন
এখানে আমন্ত্রণ-
Everlasting heavenly light-
নভেম্বর ২২, ২০১৫; ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
হেভেনলি লাইটের সাইট বানালেন নাস্তিকের গুগলে? সত্যিই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন আপনারা।