ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্বের কারণ এর ইতিহাস, এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উনিশশত ত্রিশ থেকে সাতচল্লিশ পর্যন্ত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের কাল। সে সময় জ্ঞানী, গুনী অধ্যাপকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। ভারত ভাগের সময় অনেক অধ্যাপক ওপারে চলে যান। আরেকবার ব্রেইন ড্রেইন হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়। বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে নতুন দেশটাকে দ্বিতীয়বারের মত মেধাশুন্য করা হয়। সব যে পাকিস্তানীরা করেছে এমন কিন্তু নয়। চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিক জহির রায়হান ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশেই গুম হয়েছিলেন। বাংলাদেশ তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুই দুইবারের সেই মেধাশুন্যতা পূরণ করতে পারেনি।
কেন জানি বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চা ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হয়। এতে অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ততোদিনে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় মোটামুটি একটা অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। ভারত ভাগের মাত্র এক বছরের মাথায় ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। যার ভিত্তিতে পরবর্তী দুই দশকে একটা ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। জনমনে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে মিডনাইট’স চিলড্রেন পাকিস্তানের অংশ হবার প্রাথমিক ইউফোরিয়া কেটে যায়। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া গণ আন্দোলন সংগ্রামের পরিণতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়। এই পুরো সময়টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা জাতির জন্মলগ্ন থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এই বিষয় বিবেচনা করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দুনিয়াতে অনন্য। একই কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা যতই সমালোচনা করি না কেন পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হলে দেখা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের মনে একটা সফট কর্ণার তৈরি হয়ে আছে। স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলার মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। মানুষ অপেক্ষা করে থাকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মনে হয় কিছু একটা করবে।
স্বাধীনতার পর ‘সেই ১৯৫৩ সাল’ থেকে চলে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্য হারাতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ধীরে ধীরে তাদের স্বাধীনতা হারাতে থাকে, নামে মাত্র স্বায়ত্ত্বশাসন চলে। শিক্ষকদের কোন ক্ষমতা নাই, তাদের সবার কোন না কোন রাজনৈতিক পরিচয় আছে। শিক্ষকতা ভদ্র সমাজের মধ্যে সবচেয়ে ওঁচা, সেজন্য তাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষ্যাপ মারতে হয়। বিভাগগুলোতে গবেষণার কালচার নেই, গবেষণার আলাদা কোন ফান্ডিং নেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। এগুলো যদি কোথাও থাকে তবে সেখানে গবেষণার স্বাধীনতা নেই। গবেষণার স্বাধীনতা থাকলে সেগুলো প্রকাশ করা যাবে না। ক্ষমতাসীনদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন স্বাধীন গবেষণা করা যাবে না। মোট কথা শিক্ষা-গবেষণায় লিবারেল পরিবেশটাই তৈরি হয়নি।
জ্ঞান-চর্চার বদলে ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতির আখড়াতে পরিণত হয়। আমাদের সময় আমরা দেখেছি শরীয়তপুর-মাদারীপুর গ্রুপ, গোপালগঞ্জ গ্রুপ, বহুজাতিক বাহিনী। এরা ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক পেশীশক্তির জোগানদার। এখন যেমন আছে চাপাতি লীগ, হেলমেট লীগ, হাতুড়ি লীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র। ব্রিটিশরা কেরাণি বানানোর জন্য যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল স্বাধীন দেশে সেটা আক্ষরিক অর্থেই কেরাণি বানানোতে চ্যাম্পিয়ন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনামের একটা বড় ভাগ আসলে দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থার বদনাম। দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এর জন্য ধরা হয়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকটা যেহেতু ভালো ছিল তখন এই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। কেন ও কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীত ঐতিহ্য ও গর্বের জায়গা থেকে আজকের ‘চা-চপ-সিঙাড়া’ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হল? আজকের এই অবস্থায় আমরা কিভাবে পৌঁছালাম? সেটা কি একদিনে হয়েছে, রাতারাতি হয়েছে? নাকি স্বাধীন দেশের দীর্ঘদিনের শিক্ষানীতি ও এর বাস্তবায়নের প্রতিফলন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জায়গাগুলোকে এভাবে ধ্বংস করে কিভাবে আমরা সেগুলোকে নতজানু ক্যাডার, ‘বিসিএস ফ্যাক্টরি’ বানালাম? ঢাকা ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও তথৈবচ। অযোগ্য লোকগুলোকে ভিসি বানিয়ে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজারাদার বানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা এখন যৌথভাবে কাজ করে, একের অন্যায়ের সাফাই দিতে অন্যেরা এগিয়ে আসে। শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষা-গবেষণায় আন্তরিক, ভদ্রলোকের মূল্যায়ন নেই, (নীল, সাদা) বর্ণবৈষম্যের রাজনীতিতে উপযুক্ত খেলোয়াড় ইতর শ্রেণির মোসাহেবকূল এখন সবিশেষ আদৃত হন। একাডেমিয়াতে যোগ্য ব্যক্তি কলকে পায় না। চৌর্য্যবৃত্তিতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পিছিয়ে নেই।
বাংলাদেশে শিক্ষা-গবেষণায় বরাদ্ধ দুনিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায়ও অনেক পিছিয়ে। যে পরিমাণ টাকা দেশ থেকে পাচার হয়, লুটপাট হয় সেটার একটা ক্ষুদ্র অংশ যদি শিক্ষা-গবেষণা খাতে বরাদ্ধ যেত তাহলে আজকের এমন অবস্থা হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ফান্ডিং এবং নির্ভয়ে গবেষণার পরিবেশ দেয়া হলে এক-দুই দশকে পরিস্থিতি পালটে যেতে পারে। খুব কম খরচে এটা সম্ভব। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? বিদেশী ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদের ব্যাপারে একটা বড়সড় উদ্যোগ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে হওয়া জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যাপারে বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারত। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চার পরিবেশ ও সুযোগ দিলে বর্তমান বাংলাদেশে অনেকেই আছেন যারা বিশ্বমানের গবেষণা করতে পারবেন।
আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে,কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালের বদলে ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলো না? ইংরেজ ১৭৫৭ সালে ক্ষমতা নিল, তারপরে ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে জমিদারী ব্যবস্থার প্রচলন করল। উপনিবেশের মানুষদের পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্পর্শে আনার কাজে তাদের এই বিলম্বের সাথে ভিক্টোরিয়ান স্পিরিট কিভাবে নিজেকে মিলায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতেই বা কেন তাদের ১৮৫৭ সাল অবদি অপেক্ষা করতে হলো? তখন একইসাথে কেন ঢাকাতেও একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করল না? আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসতে আমাদেরকে কেন ১৯২১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো? ঢাকা শহর বিশাল জনঅধ্যূষিত এলাকার কেন্দ্র, কলকাতার চেয়ে প্রাচীন শহর সেখানে একটা বিশ্ববিদ্যালয় বানানোই যেত।
যেই শিক্ষা-ব্যবস্থা ইংরেজ প্রশাসনের কাজে আসার নিমিত্তে তৈরি সেটা করতে তাদের এত সময় লাগা মানে প্রজাদের প্রতি ব্রিটিশরাজের কোন দায়িত্ববোধ ছিল না। ডিভাইড এন্ড রুল, ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রে জনগণকে হিন্দু-মুসলমান হিসেবে ভাগ করে ভারত শাসন করার ফল আমরা এখনো ভোগ করছি। পূর্ববঙ্গের মুসলিম অধ্যূষিত চাষাভূষোদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা না করার পেছনে ব্রিটিশদের সাথে তাদের এদেশীয় দোসরদের ভূমিকাও হয়ত ছিল। যাই হোক সেসব ইতিহাস, মোদ্দাকথা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগণ পাশ্চাত্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেল। ঢাকা শহর মোগল আমলে প্রতিষ্ঠিত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে ১৯২১ সালে এসে ঢাকা শহর আধুনিক বিশ্বের একটা জ্ঞানকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেল।
শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাণিজ্যের উপর ছেড়ে দিতে নেই। কোন দেশই সেটা করতে দেয়না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবসা-বাণিজ্য আর চাকরির বাজারের জন্য ‘অদরকারি’ বিষয় পড়ায় না। শিক্ষা সেজন্য এখন শিক্ষা ব্যবসা, শিক্ষক সেই ব্যবসার একজন কর্মী, সাহায্যকারী, একজন কামলা, আমলা, বা কেরাণি। জাত ব্যবসা করে দেখে তাদেরকে খাটো করা ঠিক হবে না।
ব্রাহ্মণ মানে জ্ঞানচর্চা করা, সেটা আরেকজনকে শেখানো মানে ব্রাহ্মণের কাজ করা। জপ-তপ, মন্ত্র পাঠ, সেগুলো গুছিয়ে রাখা, চর্চা করা। যজমান রাখা ,তাদের দান-দাক্ষিণ্যে তাদের জীবিকা। টাকা পয়সা, আয়-উপার্জন কম। আগেকার রাজা-জমিদারদের মত দান-খয়রাত কেউ করে না। আজকের দিনের ব্রাহ্মণ অধ্যাপক উপাধ্যায়দের যেমন সরকারি খয়রাত পেতে লাল-নীল নানা বর্ণের সঙ সাজতে হয়। তাতেও যেটুকু পাওয়া যায় তারচেয়ে বেশি অপমান।
কিন্তু জ্ঞানচর্চা করে তারসাথে ব্যবসা করলে সমাজে তাদের প্রতিপত্তি বেশি হয়। ব্রাহ্মণ হয়ে বৈশ্যের কাজ, জনসেবা, সাথে নগদ নারায়ণ লাভ। ইলন মাস্ক, বিল গেইটস এরা সবাই ব্রাহ্মণ হয়ে বৈশ্যের কাজ করছেন।
জ্ঞানচর্চা করে ক্ষত্রিয়ের কাজ করলেও মানুষ প্রশংসিত হয়। বড় জেনারেল, মিলিটারি আমলারা সমরবিদ্যায় অনেক পারদর্শী হতে পারেন। তখন তাদের অনেক ক্ষমতা, প্রতিপত্তি।
ব্রাহ্মণ হয়ে যিনি শুদ্র, নীচুজাতের সাথে মিশেন তিনি আমাদের নমস্য। গৌড়ের নিমাই সেই কাজ করে বাংলা নবজাগরণের দূত হয়েছিলেন। এখনো যারা জ্ঞানচর্চা করে কৃষক-শ্রমিক, মুটে-মুজুরদের সাথে কাজ করছেন তারা আমাদের প্রশংসার দাবীদার।
কিন্তু ব্রাহ্মণ হয়ে ব্রাহ্মণের কাজ নিয়ে পড়ে থাকলে আজকাল অনেকে সেটাকে সমালোচনা করেন। প্রয়োগ ছাড়া শুধু তাত্ত্বিক আলাপ দিয়ে কোন ফায়দা নেই। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক যদি তার গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়ে নতুন কোম্পানি খুলতে পারেন তবে তার অনেক সুনাম হয়। সেটা না করলে যেন তারা শিক্ষকতার জন্য শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন, একেকজন যেন একটা ‘উইন্ড ব্যাগ’, শুধু কথার ফুলঝুরি সাজানো। এরকম অকর্মণ্য, আনপ্রোডাক্টিভ জ্ঞানের কর্মীদের প্রতি সমাজের একধরণের ঔদাসীন্য আছে। বিশেষ করে জীবন যেখানে অনেক কঠিন, বাস্তবতা যেখানে নির্মম, সেখানে একাডেমিক আইভরি টাওয়ারে বসে পিঁচুটি পড়া অধ্যাপকেরা অনেক সময় কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারা বাস্তব-অবাস্তবের সীমারেখা ভুলে যান,তাত্ত্বিক কপচা-কপচি করে সময়ের অর্থহীন অপচয় করেন।
এমন সমালোচনা, দারিদ্র্য ইত্যাদি মাথায় নিয়েও যারা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেন তারা সম্মানের পাত্র। সমাজে ক্ষমতা ও টাকার দৌরাত্ম্য যদি সেটা কেড়ে নেয় তাহলে অনেক বড় ক্ষতির ব্যাপার।
জাতির ভবিষ্যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের উপর নির্ভর করে। ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙ্গে আবার বানানো যাবে, কিন্তু যেই মন একবার বিভিন্ন ‘চেতনায়’ মোল্ডেড হয়ে যাবে সেটা আর পালটানো যাবে না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের মূল্যায়ন করা সেজন্য জাতীয় স্বার্থের সাথে জড়িত। জাতির উন্নয়নের স্বার্থে অন্য আমলাদের মত শিক্ষকদেরকেও সেজন্য উচ্চ বেতন-ভাতা দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে। জ্ঞানচর্চায় পৃষ্ঠপোষকতার দরকার আছে। জনস্বার্থে, জনগণের কল্যাণের জন্য পরিচালিত গবেষণা, জ্ঞানচর্চা এগুলো ‘ফর প্রফিট’ বা লাভের জন্য গড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো করবে না। তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠান লাগবে। আমার বিশ্বাস এখনো সুযোগ করে দেয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রথম ২৫ বছরের গৌরবজ্জ্বল ধারায় ফিরে যেতে পারবে।