ইসলামি ইতিহাসে দাবি করা হয় খায়বারে এক ইহুদি বুড়ি নবি মুহাম্মদকে বিষাক্ত খাদ্য দিয়েছিল যার ফলে মুহাম্মদের মৃত্যু হয়। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে গেলে এই দাবি মিথ্যা মনে হওয়ার একাধিক কারণ আছে। এখানে নবি মুহাম্মদের মৃত্যুর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
১) খায়বারে তথাকথিত বিষাক্ত খাদ্য দেওয়া হয় ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে। এরপরেও নবি মুহাম্মদ ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
২) এই ৩/৪ বছরে মুহাম্মদ রীতিমতো জিহাদ (যুদ্ধ) করে আর বিয়ে করে কাটিয়েছিলেন। এই সময়কালে তাঁর অসুস্থতার কোন উল্লেখ কোথাওই পাওয়া যায় না। তাঁর জীবনের শেষ কয়েকমাসমাত্র অসুস্থতার কথা জানা যায়।
৩) খায়বারের ইহুদি গোত্রের ওপর আক্রমণ, লুটপাট এবং গণহত্যা চালানোর পরে তাদেরই একজন বুড়িকে দিয়ে মুহাম্মদের খাবার তৈরি করা হবে এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও অস্বাভাবিক ব্যাপার। বিশেষ করে কোরানের পাতায় পাতায় যেখানে ইহুদিদের থেকে সাবধান থাকার নির্দেশ দেওয়া আছে।
৪) মুহাম্মদের নের্তৃত্বে যখন জিহাদ বা যুদ্ধ করতে যাওয়া হতো তখন সেই সৈন্যদলে রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক সাথে করে নিয়ে যাওয়া হতো। তাদের বাদ দিয়ে একজন ইহুদি বুড়িকে রান্নার দায়িত্ব দেওয়ার গল্পটা অস্বাভাবিক তো বটেই, কোনো স্বাভাবিক বুদ্ধির সেনাপতি এভাবে কখনোই শত্রুর লোককে খাবার আনার দায়িত্ব দিবে এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারেনা। মুহাম্মদ যে বোকা ছিলেন না সেটা তাঁর লাগাতার যুদ্ধজয় থেকেই বোঝা যায়।
৫) বিষপ্রয়োগের কথা তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেলেও এই ৩ বছরের মধ্যে মুহাম্মদ যে বড় বড় ডাক্তার এনে চিকিৎসার চেষ্টা করেছিলেন তার কোনোই উল্লেখ নেই। অথচ সেটাই স্বাভাবিক ছিল। বরং এই ঘটনার পরে মুহাম্মদ বেশ কিছু যুদ্ধ করেছিলেন, আর কয়েকটি বিয়ে করেছিলেন সেটার উল্লেখ পাওয়া যায় ইসলামি ইতিহাসে। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযান চালিয়েছিলেন। যে বাহিনীর ভয়ে রোমান সম্রাট অবধি তাবুক সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে ফেলেছিল।
৬) এই সময়ের মধ্যে আল্লার সার্ভার থেকে জিব্রাইলের মাধ্যমে বহু তুচ্ছ বিষয়ে আয়াত ডাউনলোড করলেও এমন বিষপ্রয়োগের এই যুগান্তকারী সমস্যা নিয়ে কোনো আয়াত ডাউনলোড করা হয় নি। এমনকী এই সময়ের মধ্যেই আল্লা মুহাম্মদের জন্য যতোখুশি বিবি হালাল করেছেন, যদি কোনো মহিলা স্বেচ্ছায় তাঁর সাথে বিছানায় শোবার প্রস্তাব দেয় তাদেরও হালাল করে দিয়েছেন; মারিয়া বাঁদীর সঙ্গে সংসার করাও হালাল করেছেন। মুহাম্মদের বিবিরা এ নিয়ে আপত্তি করলে পুরাতন বিবিদের তালাক দিয়ে আরও ভাল বিবি দেবার ভরসা দিয়েছেন কোরানের আয়াতে। বিষপ্রয়োগে যন্ত্রণায় মরতে বসা কোনো মানুষ কী এইসব ব্যাপার নিয়ে আগ্রহ পেতেন?
৭) আয়েশা বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী এই সময়ে মুহাম্মদের মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ তো ছিলই না, বরং আল্লার নবি একরাত্রে ১১জন বিবিকে খুশি করার ক্ষমতা রাখতেন। ৫৫ বছর পার হওয়া একজন মানুষ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে তার এতো যৌনশক্তি থাকতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় একেবারেই।
এবার সেই সুপরিচিত বিষ প্রয়োগের কাহিনীটি দেখা যাক। মুহাম্মদ ও তাঁর সাথীদের যখন সেই বিষ মিশ্রিত ভেড়ার মাংস দেওয়া হল তাঁরা খাওয়া শুরু করলেন। মুহাম্মদ অল্প-অল্প করে খাচ্ছিলেন কিন্তু তাঁর সাথীরা কয়েকজন পাতা সাফ করে ফেলেছিল। এই সময় মুহাম্মদ বললেন, “সবাই থামো। এই খাদ্য আমাকে বলছে এতে বিষ দেওয়া আছে।”
মুহাম্মদের কথা শুনে ‘বশির ইবন আল বারা’ নামে এক সাথী বলে উঠল “খাবার সময়ে আমারও সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম তেমন কিছু হলে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারতেন। আপনি খাচ্ছেন দেখেই আমার সন্দেহ দূর হয়েছিল।” বস্তুত বশিরের ধারণা ছিল খাবারে বিষ থাকলে আল্লা নিশ্চয় নবীকে সতর্ক করে দিতেন।
তারপর বিষ প্রদাণকারী ইহুদী মহিলাকে ধরে এনে জেরা করা শুরু হল। সে মহিলার বক্তব্য ছিল “আমি আপনাকে পরীক্ষা করার জন্যই খাবারে বিষ মিশিয়েছিলাম। যদি আপনি বাস্তবিক আল্লার নবী হয়ে থাকেন তবে আল্লা আপনাকে রক্ষা করবেন।” এই শুনে মুহাম্মদের সঙ্গীরা সেই মহিলাকে হত্যা করতে চাইল, কিন্তু মুহম্মদ তাদের নিষেধ করলেন। ধান্দাবাজ মুসলমানেরা এই পর্যন্তই প্রচার করে থাকে।
এর পরের কাহিনী হচ্ছে বশির নামের জিহাদীটি কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর মারা যায়। তারপর মুহাম্মদই ঐ ইহুদী মহিলাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন। এই কাহিনী মুসলমানেরা চেপে রাখতে পছন্দ করে।
দেখা যাচ্ছে ইহুদিরা মুহাম্মদকে বিষ দিয়েছিল আল্লার শক্তি পরীক্ষা করার জন্য। আল্লা যদি নবীকে এই বিষ থেকে রক্ষা করতে পারতেন তাহলেই অতি সহজে ইহুদিরা মুহাম্মদকে নবী বলে স্বীকার করে নিত। সত্যিই বিষ দেওয়া হয়ে থাকলে তাই নিজের স্বার্থেই মুহাম্মদের পক্ষে প্রচার করা স্বাভাবিক ছিল যে বিষে তার কোনো ক্ষতিই হয়নি। মুহাম্মদের সাহাবীদেরও সেটাই করা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মুহাম্মদের প্রিয় সাহাবী ও বিবিরা জোরেশোরে প্রচার করছে বিষ খেয়ে মুহাম্মদ কতই কষ্ট পেয়েছিল।
এ থেকে মনে হয়, মৃত্যুর ৩ বছর আগে মুহাম্মদকে কেউ বিষপ্রয়োগ করেন নি। করলেও তা প্রাণঘাতী ছিলনা। অন্যদিকে এই বিষ প্রয়োগের কাহিনী চালু থাকায় অন্যকেউ মুহাম্মদকে বিষ দিয়ে মেরে ফেললেও ধরা পড়ার সম্ভাবনা ছিলনা একেবারেই। সমস্ত দোষ পড়ত ইহুদীদের উপর। ইহুদিদের এই বিষপ্রয়োগ মুহাম্মদ বুঝতে পারেনি এবং আল্লা তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে নবীকে সাবধান করে দেয়নি বা বিষের প্রভাব থেকে রক্ষা করেনি এটা বললে যে মুহাম্মদের নবীত্বই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় তা জেনেও মুহাম্মদের কাছের মানুষেরা যেভাবে এই বিষের কাহিনী ছড়িয়ে দিয়েছিল তা খুবই সন্দেহজনক।
বাস্তবিক, মুহাম্মদকে বিষ দেওয়ার সুযোগ ছিল কেবল মুসলমানদেরই। এ কথা শুনে যাদের অনুভূতি আহত হবে তাদের বলে রাখা ভাল যে ইসলামের প্রথম চার খলিফা খুন হয়েছিলেন মুসলমানদেরই হাতে। মুহাম্মদকে বিষ দেওয়ার সবচেয়ে বেশি সুযোগ ছিল তার বিবিদের। এতেও যদি কারও অনুভূতি আহত হয়, তবে বলা রাখা ভাল যে মুহাম্মদের নাতি হাসানকে বিষ দিয়ে মেরেছিল তারই এক শাদি করা বিবি। কাজেই মুহাম্মদকে তারই কোনো সাহাবী কিম্বা কোনো বিবি বিষ দিতে পারে এমন সম্ভাবনা বাতিল করা যায় না।
মুহাম্মদের নাতি হাসান ছিলেন বিয়ে করার ওস্তাদ। নতুন কোনো মেয়ে পছন্দ হলেই তিনি আগের বিবিদের তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করে ফেলতেন। এমনকী ইসলামের ইতিহাসে একইদিনে চারজন বিবিকে তালাক দিয়ে চারটি নতুন বিয়ে করার ঘটনাও জানা যায়। সীমাহীন ভোগবাদী হওয়ার কারণে হাসান খলিফা পদটি গ্রহণ না করে প্রস্তাব করেন যে যিনি খলিফা হবেন তাঁকেই হাসানের পরিবারের খরচ জোগাতে হবে রাষ্ট্রের তহবিল থেকে। এইভাবে রাষ্ট্রের টাকায় হাসান বিয়ে করতেন আর তিন-চার মাস পরেই বিবিকে মোহরানাসহ তালাক দিতেন। এদিকে হাসানের বিবিদের জীবন ছিল ভাড়া করা কলগার্লের চেয়েও অনিশ্চিত। যেকোনো দিনই তাদের তালাক দিয়ে বের করে দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু হাসানের মৃত্যু হলে সেই সম্ভাবনা আর থাকেনা, বরং বর্তমান বিবি হিসাবে সম্পত্তির অংশ সমেত সম্মানিত একটা জীবন পাওয়া যায়। মৃত হাসানের পরিবার হিসাবে আজীবন রাষ্ট্রে পেনশনও মেলে। এই যেকোনো দিন তালাকের আশঙ্কাতেই যে হাসানকে হত্যা করা হয়েছিল সেটা পরিষ্কার।
মুহাম্মদের বিবিদের যে হত্যার সুযোগ ছিল সেটা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। কারণও ছিল যথেষ্ট। আয়েশাকে বিয়ে করার আগে থেকেই মুহাম্মদ যে আকারে-ইঙ্গিতে আবু বকরকে পরবর্তী নেতা বানানোর সম্ভাবনা জানিয়েছিলেন সেটা অনুমানযোগ্য। আবার মারিয়া বান্দীর স্ক্যান্ডাল চেপে রাখার জন্য ওমরের কন্যার কাছেও ওমরকে খলিফা বানানোর শপথ করেছিলেন। অর্থাৎ মুহাম্মদের মৃত্যু ঘটলে যে দু’জনের সবচেয়ে লাভের সম্ভাবনা সেই আবুবকর আর ওমর, দুজনের কন্যাই ছিলেন মুহাম্মদের বিবি। যাঁরা চাইলেই মুহাম্মদকে বিষ দিতে পারতেন।
মুহাম্মদের বিবিদের নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তাদের বিয়ের ইতিহাস কিছুটা হলেও জানা দরকার। সেইসঙ্গে এটাও জানা দরকার সেই বিবিরা মুহাম্মদের সংসারে কী অবস্থায় ছিলেন।
১) বিবি খাদিজা:
মক্কার এই ধনী কোটিপতি ব্যবসায়ী মহিলার কাছে চাকুরিতে নিযুক্ত হয়ে মুহাম্মদ শেষ পর্যন্ত তাঁর জামাই হয়ে উঠেন। এর আগে খাদিজা বিবি দুইবার বিয়ে করে বিধবা হয়েছিলেন। ২৫ বছরের যুবক মুহাম্মদের সঙ্গে যখন তাঁর বিয়ে হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর। মাওলানা-মুন্সিরা দাবি করেন বয়স্ক এই মহিলাকে বিয়ে করার ঘটনা মুহাম্মদের পক্ষে বিরাট মহত্বের কাজ ছিল। কিন্তু বাস্তব সত্যি এই যে, আন্তর্জাতিক লেভেলের কোটিপতি ঘরের মেয়ের পক্ষে ৪০ বছর এমন কোনো বেশি বয়স নয়। আশেপাশে তাকালেই এই বয়সের অনেক ধনী লোকের মেয়ে দেখা যায় যারা চাইলে যে কোনো যুবককে অনায়াসেই ঘায়েল করতে পারেন। উদাহরণ হিসাবে ঐশ্বর্য্যরাই বচ্চনের বর্তমান ছবি দেখে নিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। খাদীজা বিবিও যে এমন কোনো বয়স্ক ছিলেন না, তার আরও প্রমাণ পাওয়া যায়। মুহাম্মদ ছাড়াও আরও দুটি বিয়ের প্রস্তাব তাঁর এসেছিল।
২) সাওদা বিনতে জোমআ:
সাওদা ছিলেন হজরত মুহম্মদ (সঃ)-এর দ্বিতীয় স্ত্রী। ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে খাদিজার মৃত্যুর কিছুদিন পর তাঁর সাথে নবি মুহাম্মদের বিবাহ হয়। নবির এক শিষ্যের অকাল মৃত্যুর সূত্রে সাওদা সবেমাত্র বিধবা হয়েছিলেন। খাদিজার রেখে যাওয়া বেশ কয়েকজন মেয়ে সন্তানের দেখভালের জন্য ৩৩ বছর বয়সী সাওদা ৫০ বছর বয়সী নবির জন্য খুবই উপযুক্ত পাত্রী ছিলেন।
ইবনে কাথিরের তথ্যমতে, আয়েশাকে ঘরে তোলার পর নবি দেখতে অসুন্দর সাওদাকে তালাক দিতে চাইলে সাওদা মুহাম্মদের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেন। এরপর মুহাম্মদের অনুরোধে আল্লাহ কোরানে একটা আয়াত আপলোড করেন এবং মুহাম্মদ তা ডাউনলোড করেন। যে আয়াতে সাওদাকে নবির স্ত্রী হিসেবে থাকার অনুমতি দেয় এ শর্তে যে, সাওদা নবিকে তাঁর সাথে রাত্রিযাপনের জন্য পীড়াপীড়ি করতে পারবেন না। এবং সাওদার জন্য বরাদ্দকৃত রাত্রী নাবালিকা আয়েশাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মুহাম্মদের মৃত্যুর ব্যাপারে এই বিবির হাত থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও বিবিদের ব্যাপারে মুহাম্মদের মনোভাব বুঝতে হলে কাহিনীটা জানা দরকার। যে মুহাম্মদ ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে করেছিলেন সেই মুহাম্মদই নিজের ৫২ বছর বয়সে কচি বিবি পেয়ে ৩৫ বছরের সাওদাবিবিকে তালাক দিতে চাইলেন! পরবর্তীকালে মুহাম্মদের সংসারে বয়স্কা বিবিরা কেমন অবস্থায় বাস করতেন সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। এটাও দেখা যাচ্ছে যে ৩৫ বছরের বিবিরা মুহাম্মদের হিসাবে বুড়ি বিবেচিত হতেন। তালাকের আতঙ্কে থাকতেন।
৩) আয়েশা বিবি ওরফে আয়েশা বেবি:
মুহাম্মদের সংসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী আয়েশা বিবির পুরো ইতিহাস জানা খুবই প্রয়োজন। আয়েশার পিতা আবু-বকর ছিলেন মুহাম্মদের একনিষ্ঠ অনুসারী। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো এই আবুবকর মুহাম্মদের কথায় চোখকান বুঁজে বিশ্বাস করতেন। মুহাম্মদের প্রতি এতোখানি আস্থা সেসময় অন্য কারুরই ছিল না।
মেরাজ কাহিনী:
খাদীজা বিবি মারা যাওয়ার পর মুহাম্মদের যখন নিঃসঙ্গ সময় কাটছিল, এমনই এক রাতে কাবাঘরের চত্ত্বরে ঘুমানোর সময় মাঝরাতে দেখা যায় মুহাম্মদ উধাও হয়ে গেছেন। তাঁর সাহাবিরা আশঙ্কা করেন প্যাগানরা হয়তো তাঁকে কোনো বিপদে ফেলেছে। তাই তাঁরা সেই রাত্রেই মুহাম্মদকে খুঁজতে বের হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভোরবেলায় মুহাম্মদকে পাওয়া যায় উম্মে-হানী নামের এক প্যাগান মহিলার বাসায়। এদিকে সে রাতে আবার তাঁর স্বামী বাইরে ছিলেন।
এই উম্মে হানী ছিলেন কুরাইশ গোত্রপ্রধান আবু তালিবের মেয়ে। ফলে ব্যাপারটা নিয়ে বিরাট হৈচৈ পড়ে যায়। মুহাম্মদ দাবি করেন তিনি নাকী মাঝরাতে উম্মে হানীর ঘরে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন, এবং সেখান থেকে ফেরেস্তারা তাঁকে তুলে আল্লার কাছে দেখা করাতে নিয়ে যায়। বলাই বাহুল্য যে, প্যাগানেরা সে কথা একেবারেই বিশ্বাস করে নি। কাবাঘর ছেড়ে একজন প্যাগান মহিলার ঘরে মাঝরাতে কেউ নামাজ পড়তে যাবে এটা নিতান্তই হাস্যকর ব্যাপার। সে মহিলা আবার প্যাগানদের প্রধান পুরোহিতের মেয়ে।
তাদের বিশ্বাস করানোর জন্য আল্লার নবি মুহাম্মদ চোখকান বুঁজে ‘নদী-পাহাড়-নক্ষত্র’ ইত্যাদি প্যাগান উপাস্যদের কসম খেয়ে আল্লার আয়াত ডাউনলোড করতে শুরু করে দেন। এমনকী সেসময় তিনি বেহেস্তের যে বর্ণনা দেন সেটাও ইসলামি আল্লার বেহেস্তের মতো না হয়ে মূর্তিপূজক প্যাগানদের বেহেস্তের অনুরূপ ছিল।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ইসলামি নিয়মে কেয়ামতের পর বিচার করে মানুষকে স্বর্গ বা নরকে পাঠানো হবে, তাই সেই কেয়ামতের আগে স্বর্গে বা নরকে কোনো মানুষের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মুহাম্মদের বলা বেহেস্তের বিবরণে যা আছে সবটাই প্যাগান বিশ্বাসের মতো। কারণ গল্পটা প্যাগানদেরই বিশ্বাস করানো দরকার ছিল। তবে এতে বিশেষ কোনো কাজ হয়নি। কারণ স্বর্গ-নরকের ওই বর্ণনা সকলেরই পূর্ব থেকে জানা ছিল। নিজের চোখে না দেখেও এসব বলা সম্ভব।
প্যাগানরা আল্লার নামে বুকনি শুনতে চাইছিলেন না, তারা চাইছিলেন প্রমাণ। পুরো গল্পের মধ্যে একটা অংশই যাচাই করা সম্ভব ছিল, তা হল বায়তুল মোকাদ্দাস ওরফে সলোমন মন্দিরের বর্ণনা। মুহাম্মদ দাবি করেন বেহেস্তে যাবার পথে সেখানে তাঁর যাত্রাবিরতি হয়েছিল। সেই ইমারতের দরজা-জানালারও বিবরণ দিয়ে মুহাম্মদ তার গল্প বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন। জন্ম থেকেই মক্কায় বাস করার ফলে মুহাম্মদ ভাল করেই জানতেন যে, সে ইমারত কেউ চোখে দেখেন নি। মক্কার লোকজনও এই একই প্রশ্ন তোলে, যেহেতু বেহেস্তের মতোই সলোমনের মন্দিরও কেউ দেখেনি তাহলে মুহাম্মদের দাবি যাচাই হবে কীভাবে? এই কথা শুনে আবু বকর বলে ওঠেন “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নবি মুহাম্মদ সত্য কথাই বলেছেন“।
পাঠক হয়তো মনে করবেন আবু বকর নিজে সেই ইমারত দেখেছিলেন বলেই সাক্ষ্য দিতে পেরেছেন। কিন্তু বাস্তব ইতিহাস বলে যে মুহাম্মদ তথা আবু বকরের জন্মের বহু আগেই ঐ ইমারত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাই মুহাম্মদ বা আবুবকর, কারও পক্ষেই সেটি চোখে দেখা সম্ভব ছিলনা। এরপরেও আবুবকর মুহাম্মদের কথায় বিশ্বাস করেই এতবড় একটা কথা বলে ফেলেছিলেন। এর থেকে আবু বকরের অন্ধ বিশ্বাসের আন্দাজ পাওয়া যায়। এই অন্ধ বিশ্বাসের কারণেই মুহাম্মদ যখন আয়েশাকে বিয়ে করাটা আল্লার ইচ্ছা বলে দাবী করেন, আবুবকর তখন আর আপত্তি করতে পারেননি। কিন্তু আল্লার ইচ্ছা বলে দাবি করার আগে বহুরকম আপত্তি তুলেছিলেন। তারপরেও মুহাম্মদ আল্লার নাম নিয়ে আবুবকরকে বাধ্য করেন।
কিন্তু এরপরেও আরও দশটি বিয়ে করেছিলেন মুহাম্মদ। এছাড়া ইচ্ছামতো দাসী নিয়ে ফূর্তি করার ব্যবস্থা তো ছিলই। আবার যেকোনো স্বাধীন নারী রাজী থাকলে তাদের নিয়েও বিছানায় যাবার ব্যবস্থা ছিল। বিবিদের কেউ এসব অনাচার দেখে কোনোরকম প্রতিবাদ করলেই তালাক দেবার হুমকি দেওয়া হতো। কোনো মেয়ের বাবাই এসব দেখে সহ্য করতে পারার কথা নয়। তাছাড়া আয়েশাকে তালাক দিলে আবুবকরের সমস্ত ক্ষমতা এবং সম্মান শেষ হয়ে যেতো। তালাক না দিলেও মুহাম্মদের পক্ষে যেকোনো সময় আয়েশার চেয়েও কচি আরেকটা বিবি নিয়ে আসা অসম্ভব তো ছিলই না, বরং আল্লা যে তার চেয়েও ভাল বিবি জোগাড় করে দিতে পারে সেটার কথাও কোরানে লেখা আছে।
এরপর ভবিষ্যতে আবুবকর যদি বুঝতে পেরে থাকেন যে মুহাম্মদ আদৌ আল্লার ইচ্ছায় নয়, বরং আল্লার নামে মিথ্যা বলে আয়েশাকে বিয়ে করতে বাধ্য করিয়েছিলেন তবে খুনোখুনি হওয়াটা অসম্ভব কিছুই নয়। মুহাম্মদের সবচেয়ে কাছের মানুষ হওয়ার ফলে আয়েশার পক্ষে সহজেই নবির ধূর্তামি ও ভণ্ডামি ধরে ফেলা সম্ভব ছিল। আর কন্যা হিসেবে হয়তো সেটা আবুবকরকে জানিয়ে দেওয়াটাও স্বাভাবিক ছিল। এখন আবুবকর যদি জানতে পারেন যে মুহাম্মদ আদৌ আল্লার নবি নয়, তাহলে তাঁকে হত্যা করাটা সমকালীন সামাজিক অবস্থায় অন্যায় তো ছিলই না, বরং আবু বকর তথা আয়েশার পক্ষে খুবই লাভজনক ছিল।
আয়েশা যে মুহাম্মদের নবি দাবি করার বিষয়টা যথেষ্ট সন্দেহ করতেন সেটা তাঁরই বলা হাদিসে উল্লেখ আছে। কিন্তু পরে কয়েকটি ঘটনায় ব্যাপারটি সম্পর্কে আয়েশা একেবারেই নিশ্চিত হয়ে যান। একবার মুহাম্মদের সঙ্গে যাবার পথে আয়েশা হারিয়ে গিয়েছিলেন। পালকিতে করে যাত্রা করার পর সন্ধ্যায় পালকি নামিয়ে দেখা গেল আয়েশা নেই। সাফওয়ান নামে এক সৈনিক ঐ একই পথে আসার সময় পথের মাঝে আয়েশাকে খুঁজে পান এবং তাঁকে উঠের পিঠে তুলে নিয়ে পরদিন সকালে মুহাম্মদের তাঁবুতে পৌঁছে দেন। এই ঘটনায় লোকজন অপবাদ দেওয়া শুরু করলে মুহাম্মদ তার প্রিয় সাহাবীদের কাছে পরামর্শ চাইল। মুহাম্মদের জামাই (ফাতেমার স্বামী) আলী সেই আলোচনাসভায় পরিষ্কারভাবে বলেন যে, আয়েশাকে অবিলম্বে ত্যাগ করা উচিত। এর ফলে আলীর সঙ্গে আয়েশার আমরণ শত্রুতা জন্মায়। আলী খলিফা হওয়ার পর আয়েশা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
সে যাইই হোক, আলোচনার পর মুহাম্মদ আয়েশাকে বাপেরবাড়ি অর্থাৎ আবুবকরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। প্রায় একমাস পর, যখন গোলমাল একটু কমে এল, তখন আল্লা একটি আয়াত পাঠিয়ে জানালেন যে, আয়েশা নির্দোষ। এর ফলে মুহাম্মদ-আয়েশার সংসার আবার আগের মতো চলতে থাকল। কিন্তু এই আয়াত থেকেই যেকোনো সাধারণ বুদ্ধির মানুষই মুহাম্মদের ভণ্ডামি ধরে ফেলা সম্ভব। আয়েশা নির্দোষ কীনা সেটা জানতে আল্লার একমাস লাগার কথা নয়।
এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা চলে যে আয়েশা এই আবিষ্কারের কথা তাঁর পিতা আবুবকরকেও জানিয়েছিলেন। আয়েশায় মতো আল্লার দেওয়া কচি বিবি থাকতে মুহাম্মদ যে একের পর এক বিবি, দাসী, প্রেমিকার মিছিল নিয়ে আসছিলেন সেটাও আবুবকর জানতেন। আয়েশা সবচেয়ে প্রিয় বিবি থাকাকালীন মুহাম্মদের মৃত্যু হলে আবুবকর যে খলিফা হতে পারেন সেটাও তাঁর জানা ছিল। কাজেই আবু বকর কিংবা আয়েশা দু’জনেরই কাছে মুহাম্মদের মৃত্যু যথেষ্ট লাভজনক ছিল। স্লো-পয়েজনিং করার সুযোগও পুরোমাত্রায় ছিল। যেহেতু আবুবকর জেনে ফেলেছিলেন যে আল্লার কাছ থেকে আয়াত নাজিল হওয়ার ঘটনা আসলে ভণ্ডামি, তাই ১৮ বছর বয়সী আয়েশাকে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে দেওয়াটাও তাঁর পক্ষে কঠিন কোন বিষয় ছিলনা। কিন্তু গুপ্তঘাতকের হাতে মারা পড়ায় সেসব আর সম্ভব হয়নি।
৪) হাফসা বিবি:
মুহাম্মদের আরেক সাহাবী হজরত ওমরের এই মেয়েটি ১৯ বছর বয়সে বিধবা হয়। অতিরিক্ত মাথাগরম এবং ঝগড়াটে স্বভাবের কারণে ওমর তাঁকে দ্বিতীয়বার বিয়ে দিতে পারছিলেন না। বিশেষত মুসলমান পাত্র বিয়ে করলেও যেকোনো সময় তালাক দিয়ে ফেলতে পারে, তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন যিনি এই মাথাগরম মেয়েকে সামলাতে পারবেন। ওমর প্রথমে আবু বকরের কাছে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন, কিন্তু কথাটি শুনেই আবুবকর কোনো উত্তর না দিয়ে উঠে গেলেন। এতে ওমর প্রচণ্ড রেগে বেশ কিছুদিন আবু বকরের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর মুহাম্মদের কাছে প্রস্তাব করামাত্রই মুহাম্মদ রাজী হয়ে যান এবং দ্রুতই বিয়ে করে ফেলেন। বিয়ের পরেই আবু বকর ওমর এর সঙ্গে দেখা করে আসল কাহিনী খুলে বললেন। আবু বকর বলেন-
“আমি জানতাম নবি হাফসাকে বিয়ে করতে চান, সেই কারণেই আমি প্রস্তাব শুনে রাজী হতে পারি নি। আবার আসল কারণ খুলে বলারও আমার উপায় ছিল না। এখন যেহেতু বিয়েটা হয়ে গেছে তাই আর বলতে বাধা নেই।“
একদিন নবি হাফসার ঘরে যান (নবির প্রত্যেক স্ত্রীর আলাদা ঘর ও দাসী ছিল)। নবির স্ত্রীদেরকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হতো তাঁর সাথে রাত কাটানোর সুযোগের জন্য। নিঃসন্দেহে হাফসা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন দিনটির জন্য। কিন্তু নবি এসে হাফসাকে বলেন যে, তার বাবা ওমর কী কারণে যেন হাফসাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
হাফসা বাবার বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পরপরই নবি মুহাম্মদ হাফসার মিশরীয় সুন্দরী দাসী মারিয়ার সাথে হাফসারই বিছানায় যৌনকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েন। হাফসা বাবার বাড়িতে গিয়ে জানতে পান, তাঁকে আসলে ডেকে পাঠানো হয় নি। কাজেই হাফসা নবির সাথে শোয়ার জন্য জলদি ফিরে এসে নবি ও মারিয়াকে যৌনকর্মে লিপ্ত দেখে ভীষণ ক্রুব্ধ হয়ে উঠেন। ফলে বিবিকে শান্ত করতে এবং ঘটনাটি গোপন রাখতে মুহাম্মদ হাফসার কাছে ওয়াদা করেন যে, এই কর্ম আর তিনি করবেন না এবং হাফসার বাবা ওমর হবেন ইসলামি জাহানের খলিফা।
অর্থাৎ মুহাম্মদের মৃত্যুতে হাফসা এবং ওমরেরও যথেষ্ট লাভ ছিল। কিন্তু হাফসা এই গোপন কথাটি প্রকাশ করে দেওয়ায় মুহাম্মদ তাঁকেও তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। একবার তালাক হয়ে গেলে ওমরের আর খলিফা হওয়ার আশা থাকতো না। তাই তাড়াতাড়ি মুহাম্মদের মৃত্যু হাফসার জন্য লাভজনকই ছিল। এবং সে সুযোগও ছিল যথেষ্ট।
৫) হযরত উম্মে সালমা:
উম্মে সালমা ছিলেন নবির এক শিষ্যের বিধবা স্ত্রী। জানা যায়, সে এতই আকর্ষণীয় ছিলেন যে, শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নেতা আবু বকর ও ওমরও নাকী তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এমনকী নবির সবচেয়ে কমবয়সী দুই বিবি আয়েশা এবং হাফসা দুজনেই উম্মে সালমা’কে দেখে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে তাঁরা যা শুনেছিলেন, তিনি তারচেয়েও অধিক সুন্দরী। উম্মে সালমা ও তাঁর স্বামী আবু সালমা দুজনেই ইসলামের সেবক ছিলেন। দুজনেই মুহাম্মদের নির্দেশে মক্কা থেকে হিজরত করেছিলেন। দুজনেই মদীনায় বাস করতেন। জিহাদে অংশ নিয়ে উহুদ-এর যুদ্ধে আবু সালমা মারাত্মক আহত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন, তখন মুহাম্মদ নিয়মিত সে বাড়িতে খবর নিতে যেতেন। কিন্তু যখন তিনি বিছানা ছাড়ার মতো সুস্থ হয়ে উঠলেন ততদিনে মুহাম্মদের দিলের মধ্যে সুন্দরী উম্মে সালমার ছবি স্থায়ী হয়ে গেছে। অতএব মুহাম্মদ তাঁর অনুগত বান্দাটিকে দুর্বল অসুস্থ অবস্থায় সেনাপতি বানিয়ে বনি-সাদ গোত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পাঠিয়ে দিলেন। যেমনটা আশা করা যায়, সেই যুদ্ধ থেকে আবু সালামা জীবিত ফিরে আসতে পারলেন না। এরপর অনেকের অনেক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও নবি মুহাম্মদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিলনা।
ভবিষ্যতে যদি ইনি জানতে পারেন যে তাঁকে বিয়ে করার মতলবেই ভণ্ড নবি মুহাম্মদ তাঁর অনুগত প্রিয় বান্দাকে কায়দা করে খতম করেছেন সেক্ষেত্রে প্রতিশোধ নিতে বিষ দেওয়াটাও খুবই সম্ভব।
৬) জয়নব বিনতে জাহস:
জয়নব ছিলেন সম্ভবত ইসলামের নবি মুহাম্মদের সবচেয়ে সুন্দরী স্ত্রী। তিনি ছিলেন মুহাম্মদের আপন খালাতো বোন এবং পালকপুত্র জায়েদ-এর স্ত্রী। সে সম্পর্কে তিনি স্বামী জায়েদের ফুফু ছিলেন। যেমন খাদিজা ছিলেন মুহাম্মদের ফুফু। একদিন কোন এক কাজে মুহাম্মদ পালিত পুত্র জায়েদের বাড়ি গিয়ে ঘরের ভিতরে উঁকি দিলে অর্ধনগ্ন জয়নবকে দেখে তিনি যৌন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জায়েদ বাড়ি ফিরলে জয়নবকে দেখে নবির প্রতিক্রিয়া জানানো হলে জায়েদ বুঝে ফেলেন নবির মনে কী আছে এবং দৌড়ে গিয়ে মুহাম্মদকে জানান যে তিনি জয়নবকে তালাক দিবেন যাতে নবি তাঁকে বিয়ে করতে পারেন।
মুহাম্মদ তাঁর পালকপুত্রের এহেন প্রস্তাবে আদৌ আশ্চর্য না হয়ে শুধুই বলেন,
“নাহ, তোমার স্ত্রী তুমিই রাখ।”
কিন্তু জায়েদ ঠিকই তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন এবং নবি জয়নবকে বিয়ের পরিকল্পনা শুরু করেন। নিজ পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ের ব্যাপারে জনতার মাঝে কানাঘুষা শুরু হলে মুহাম্মদ আল্লার কাছে থেকে আয়াত ডাউনলোড করে জানালেন ‘দত্তকপুত্র নিজের পুত্রের সমান নয়’। এইভাবে মুহাম্মদের সাথে জয়নবের বিয়ে হালাল হয়ে গেল।
কিন্তু জয়নবের প্রাক্তন স্বামী জায়েদ সকলের চোখের সামনে ঘোরাঘুরি করলে কোনোভাবেই লোকের মুখ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছিলনা। তাই দ্বীনের নবি মুহাম্মদ জায়েদের সঙ্গে মাত্র তিন হাজার সৈন্য দিয়ে সে যুগের সুপার-পাওয়ার রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হলেন। সে যুদ্ধ থেকে জায়েদের জীবন্ত ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই ছিলনা। সোজা কথায়, মুহাম্মদ তাঁর দত্তকপুত্র জায়েদকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছিলেন।
জায়েদের বিবি জয়নবও মুহাম্মদকে আল্লার নবি ভেবেই বিয়ে করেছিলেন। মুহাম্মদের ঘরে যাবার পরে তাঁর ভণ্ডামি এবং জায়েদের হত্যার ষড়যন্ত্র জানতে পারলে তাঁর পক্ষেও মুহাম্মদকে হত্যা করা অসম্ভব ছিলনা।
৭) জুবেইরিয়া বিন্তে আল-হারিথঃ
জুবেইরিয়া ছিলেন ইহুদি বনী আল-মুস্তালিক গোত্রপতির স্ত্রী। নবি বনী মুস্তালিক গোত্রকে আক্রমণ করলে তাঁর স্বামী নিহত হন এবং অন্যান্য নারীদের সাথে জুবেইরিয়া ক্রীতদাসী হিসেবে ধৃত হন। ভরা-যৌবনা পরম সুন্দরী জুবেইরিয়ার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে নবি তাকে নিজের জন্য চয়ন করেন। নিজের স্বামী পরিবারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তিনিও নবি মুহাম্মদকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন; যা অসম্ভব কিছুও নয়।
৮) সাফিয়া বিন্তে হুয়াই:
ইসলাম ও নবি মুহাম্মদ সম্পর্কে অবশিষ্ট সবকিছুও যদি ভাল হয়, তথাপি
মুহাম্মদ বনী নাদের গোত্রের বসতি খাইবার সাত-সকালের অন্ধকারে অতর্কিতে আক্রমণ করে তুমুল যুদ্ধের পর ইহুদিদেরকে পরাজিত করেন। তাদের বেশিরভাগ পুরুষদেরকে হত্যা করা হয় এবং নারী-শিশুদেরকে ক্রীতদাস হিসেবে কব্জা করা হয়।
নাদের গোত্রপতি কিনানাকে গ্রেফতার করে নবির নির্দেশে বুকে আগুন জ্বালিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করার পর তাঁকে হত্যা করা হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নবি তাঁর শিষ্য দিহায়াকে অনুমতি দেন সাফিয়াকে নিজ দাসী হিসেবে নেওয়ার জন্য। কিন্তু নবির কিছু শিষ্য সাফিয়াকে দেখে তার অনিন্দ্য সৌন্দর্যে বিমোহিত হোন এবং তিনি কিনানার স্ত্রী ছিল তা জানার পর দিহায়ার প্রতি হিংসা অনুভব করেন। তাঁরা মুহাম্মদের কাছে গিয়ে সাফিয়ার অপূর্ব সৌন্দর্যের কথা জানান এবং বলেন যে, তিনি কেবল মুহাম্মদেরই যোগ্য। শুনেই নবি নির্দেশ দিলেন সাফিয়াকে তাঁর সামনে হাজির করতে। এবং সাফিয়াকে দেখেই তিনি তাঁকে নিজের রুমাল দ্বারা ঢেকে ফেলেন, এর অর্থ, নবি মুহাম্মদ সাফিয়াকে নিজের জন্য নির্বাচিত করেছেন। সেদিনই মুহাম্মদ সাফিয়াকে নামেমাত্র বিয়ে করে বিছানায় নেওয়ার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ইতিহাস মুহাম্মদকে বিষ দেয়ার বিষয়ে যে ইহুদি বুড়ির কাহিনী শোনায়, তাতে বলা হয় নিজের সম্প্রদায় এবং আত্মীয়বন্ধুদের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই নাকী সেই বুড়ি নবি মুহাম্মদকে বিষ দিয়েছিল। জুবেরিয়া-বিবি এবং সাফিয়া-বিবি, দু’জনেরই সেই একই কারণে মুহাম্মদকে বিষ দেওয়া সম্ভব ছিল।
৯) দামাদ-উল-মুহাম্মদ হজরত আলী:
মুহাম্মদের সবচেয়ে নিকটাত্মীয়, একাধারে বন্ধু, ভাই ও জামাই আলী ছিলেন সঠিক হিসাবে মুহাম্মদের সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তাধিকারী। উত্তরাধিকার সূত্রে যদি মুহাম্মদের রাজত্ব কেউ পেতে পারতেন, তবে তিনি হলেন এই আলী। শর্ত একটাই, মুহাম্মদের কোনও পুত্রসন্তান না থাকা। মুহাম্মদের একমাত্র পুত্র ইব্রাহিম মারা যাওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে মুহাম্মদের মৃত্যু ঘটানো আলীর পক্ষেও যথেষ্ট লাভজনক ছিল।
মুহাম্মদের সঙ্গীরা সকলেই নিশ্চিত ছিলেন মুহাম্মদের পুত্রসন্তান জন্মানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। ২৫ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর বয়স অবধি ১৪ জন বিবি এবং হিসাবহীন দাসী থাকার পরেও মুহাম্মদের একটিও পুত্র না হওয়ায় সকলেরই তেমন ধারণা ছিল। খলিফা পদের প্রতিযোগী দাবিদার বলতে ছিলেন আবুবকর, ওমর এবং আলী। আবু বকরকে প্রতিযোগিতা থেকে সরাতে মুহাম্মদ আর আয়েশার সম্পর্ক যাতে খারাপ হয় সে চেষ্টা আলী যথাসাধ্য করেছিলেন। কিন্তু সময়মতো আল্লার সার্ভার থেকে আয়াত ডাউনলোড হয়ে আয়েশাকে বিশেষ মহিমা দেওয়ায় সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তবে আলীর মূল উদ্দেশ্য তারপরেও সফলই হয়েছিল। বাইরে একরাত কাটিয়ে আসার ফলে আয়েশা যদি গর্ভবতী হয়েও পড়েন তবে তা যেন মুহাম্মদের সন্তান বলে লোকে ভুল না করে সেইজন্যই আয়েশাকে একমাস মুহাম্মদের থেকে আলাদা করে রাখতে আলী সফল হয়েছিলেন।
১০) মারিয়া কিবতী:
মিশরের খ্রিস্টান শাসকের কাছে মুহাম্মদ যখন ইসলাম গ্রহণের হুকুম পাঠিয়েছিলেন তখন তিনি মারিয়া কিবতী নামের এই খ্রিস্টান দাসীকে মুহাম্মদের কাছে ভেট হিসাবে দিয়েছিলেন। হাদিস অনুসারে এই দুনিয়ায় মুহাম্মদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু ছিল আউরাত, সে হিসাবে ভেট একদম সঠিক হয়েছিল। এই প্রিয় ভেট পেয়ে মুহাম্মদ আর মিশরে ইসলাম প্রচারের চেষ্টা করেন নি।
এ সম্ভাবনা পুরোপুরি অস্বীকার করা চলেনা যে মিশরের খ্রিস্টান গভর্ণর মারিয়াকে এমন এক মিশন দিয়েছিলেন যিনি খ্রিস্টবিরোধী কাজকর্ম সীমা ছাড়ালে মুহাম্মদকে হত্যা করতে হবে। তাছাড়া মারিয়ার পক্ষেও তার নিজধর্মের মানুষের ওপর মুহাম্মদের আগ্রাসী আক্রমণে বিরক্ত হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। নবি মুহাম্মদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযান ছিল রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে, যা খ্রিস্টানের পক্ষে হজম করা কঠিন। তাছাড়া মুহাম্মদের বিবিরা যে মারিয়াকে পছন্দ করতেন না সেটাও সকলেরই জানা। এই অবস্থায় মারিয়ার একমাত্র ভরসা ছিল ইব্রাহিম, যে কীনা মুহাম্মদের উত্তরাধিকারী হতে পারতো। সেক্ষেত্রে পুরো ইসলামি সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকতো মারিয়ার হাতে। কিন্তু ইব্রাহিম মারা যাওয়ার পরে মুহাম্মদের সংসারে একটা সম্মানজনক জায়গা পাওয়ারও আর আশা থাকেনা। তখন মুহাম্মদকে হত্যা করা মারিয়ার পক্ষেও সম্ভব ছিল।
এইভাবে অন্ততপক্ষে দশজন নিকট আত্মীয়ের পক্ষেই মুহাম্মদকে হত্যা করার কারণ এবং সুযোগ ছিল। যার মধ্যে তিনজন ছিলেন খলিফা পদের সম্ভাব্য অধিকারী বা অধিকারীর পরিবারের লোক। বিবিরা সকলেই ভয় করতেন, কখন মুহাম্মদ তাঁদের তালাক দিয়ে বসেন। এই অবস্থায় মুহাম্মদের মৃত্যুর সম্ভাবনার দায় কেবলমাত্র ইহুদিদের ওপর চাপানো অজ্ঞতার নামান্তর। নবি মুহাম্মদের খুন হবার বাঁকি সম্ভাবনাগুলিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
জুলাই ৪, ২০১৭; ৭:২৫ অপরাহ্ন
এসব কথা ঐতিহাসিকরাও নিশ্চয় জানেন, কিন্তু মুসলিম জিহাদি খুনিদের ভয়ে তারা এসব ঘাটাতে চান না। আপনি সাহস করে লিখেছেন বলে সাধারণ মানুষরাও জানতে পারবে। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আরও লিখুন, সবাই জানুক।
জুলাই ৫, ২০১৭; ৬:০৯ পূর্বাহ্ন
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এটা কেবল সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা। সত্যিই এমনটা ঘটেছিল কীনা সেটা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন। তবে ইহুদিদের ওপর দোষ চাপানোর অকারণ চেষ্টা হাস্যকর। সত্যিই যদি ইহুদিরা মুহাম্মদকে বিষপ্রয়োগ করে থাকে তবে সেটা মুহাম্মদের বেকুবির প্রমাণ। বিবিদের চরিত্র রক্ষার জন্য যে ব্যক্তি নিজের সাহাবীদেরও বাসায় ঢুকতে নিষেধ করেন সেই ব্যক্তিই আবার একজন শত্রুর হাতে খাবার খেতে রাজী হবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।
জুলাই ৪, ২০১৭; ৮:৫১ অপরাহ্ন
বর্তমানের লেখকদের একটা সমস্যা হচ্ছে পুরো বিষয়ে গভীরভাবে না জেনে লেখা শুরু করে দেওয়া! সরি টু সে: ২,৩,৪ ,৭ নং পয়েন্ট প্রমাণ করে আপনিও সেই দলের!
জুলাই ৪, ২০১৭; ৯:৫৬ অপরাহ্ন
একজন পুরণো পাপী! মানে অভিজ্ঞ লেখক হিসেবে আপনার মন্তব্যটিও একটু তথ্যমূলক হতে পারতো। সরি টু সে, আপনি ‘আমার দলের’ না হলেও আপনার মন্তব্যটা একইদলের হয়ে যাচ্ছে। আপনার মন্তব্য থেকেও পাঠক কিছু জানতে পারলো না।
জুলাই ৪, ২০১৭; ১১:০০ অপরাহ্ন
আসুন দুজনে সরি টু সে-সরি টু সে খেলি…
হা হা হা!
তবে আমার পাঠকেরা আমার খবর খুঁজে নেবে নিশ্চয়!
আপনি আমার পাঠক নন সেটা পরিস্কার!
সরি টু সে…
হা হা হা!
জুলাই ৫, ২০১৭; ৫:৫১ পূর্বাহ্ন
সে অর্থে আপনার পাঠক হবার সৌভাগ্য হয়নি ঠিকই। তবে আপনারই একটা লেখায় ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে মুহাম্মদের বিয়ের কাহিনী দেখেছি। তবে আপনি ডাক্তার মানুষ। আপনি যদি লিখেন ‘রোগী দীর্ঘকাল অসুস্থ ছিল…‘ তবে সেটা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট হিসাবেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু সেটা ডাক্তারের মতো পরিষ্কার করে লিখতে হবে।
গ্ল্যাড টু সে, আপনার মন্তব্য পড়ে আমার দু‘জন ডাক্তারের কথা মনে পড়ছে। ডাক্তার মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী আর ডাক্তার মারুফুর রহমান। এঁদের না চেনার কোন কারণ নেই।
জুলাই ৫, ২০১৭; ৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
আমি মোটেই ডাক্তার টাইপ কিছু নই! তবে সহিহ হাদীস বলে মুহাম্মদ ক্রমশ ভুগতে থাকেন এই ঘটনার পর থেকে এবং ক্রমশ শরীর খারাপ হতে থাকে তার! হুদাইবিয়া সন্ধির পর উমরাকালীন সময়ের বর্ণনায় তার চিত্র খুঁজে পাই আমরা! সেক্ষেত্র ২/৩ নং পয়েন্ট বাতিল হয়ে যায়!
খায়বার পরবর্তী খাবার নিমন্ত্রণ এবং তা গ্রহণের ইসলামী ইতিহাস ৩/৪ নং পয়েন্টকে ভুল প্রমাণ করে!
আর ৭ নং পয়েন্টের ১১ জন বিবিকে খুশী করার ঘটনাটি একটি কাল্পনিক মিথমাত্র! বর্ণনাকারী সাহাবী ঘরে ঢুকে ঢুকে দেখেন নি অবশ্যই!
মূলত ৪০ বছরের পর থেকেই মুহাম্মদ শারীরিকভাবে পাল্টে যেতে থাকেন! শরীরে মোটা হতে থাকেন, হাত পায়ে পানি আসতে থাকে তার! ইত্যাদি ইত্যাদি!…
আমি আদতে কমেন্ট কমেন্ট খেলতে ভালোবাসি না! কামলা খাটা কাজ আমার, তাই এতো বিজি থাকতে হয় রেফারেন্স দিয়ে আলোচনা করার সময় হয় না বলেই লুকোচুরি বলতে পারেন!
তবে অনুরোধ রাখবো- ইসলামী ইতিহাস পাঠের সবচেয়ে সহজ উপায় ধর্মকারীতে প্রকাশিত গোলাপ মাহমুদের ‘ইসলামের অজানা অধ্যায়’ ইবুক সিরিজের ৪ টি খণ্ড সাথে রাখলে পরিশ্রম একবারে কমে যেতে পারে আপনার!
আদতে ভাই ভাই তো আমরা, একই লক্ষ্যে লড়ছি…!
শুভকামনা আপনার জন্য!
জুলাই ৫, ২০১৭; ২:২৫ পূর্বাহ্ন
নবী মুহাম্মদকে কি বিষ প্রয়োগে মারা হয়েছিল? এ তথ্যতো আগে জানা ছিল না।
জুলাই ৫, ২০১৭; ৬:২২ পূর্বাহ্ন
আমার তো ধারণা ছিল এটা সকলেই জানে। রেফারেন্স হিসাবে বুখারী ৭৮৬ হাদিস পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে লেখা আছে বিষ দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষের কারণে চার বছর পরে মৃত্যু হয়েছে এটা অবশ্যই নিশ্চিত নয়। বরং এই বিষ দেওয়ার কাহিনী প্রচলিত থাকলে যে কেউ আরেক ডোজ বিষ দিয়ে মেরে ফেলতে পারে। ধরা পড়ার সম্ভাবনা নেই।
জুলাই ৫, ২০১৭; ৪:২৪ পূর্বাহ্ন
বহুদিন বিরতির পর আবারও বাঙলা ব্লগ প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। ব্লগাররাও আস্তে আস্তে যৌক্তিক আলোচনায় মেতে উঠছেন। নিঃসন্দেহে এটা শুভ লক্ষণ। বাঙলা ব্লগ আবারও প্রাণ ফিরে পাক, এটাই চাই।
জুলাই ৫, ২০১৭; ৬:১৯ পূর্বাহ্ন
ঘনাদা আমার অন্যতম প্রিয় নায়ক। আশাকরি আপনিও আগেরমতো নিয়মিত লেখা দিয়ে আমার মতো নগণ্য পাঠকের দুঃখ দূর করবেন।
মে ২২, ২০২১; ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
পড়লাম। তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।