বাঙালি নারী অধিকার আদায়ে পুরুষদের ভূমিকা ও রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গ

7 মতামত পাওয়া গেছে

রামচন্দ্র মজুমদারের মতে, ব্রিটিশ-পূর্ব ভারতবর্ষের হিন্দু নারীর নির্যাতিত নারী পৃথিবীর কোন জাতির মাঝে কোন কালেই দেখা যায় নি। এবং হিন্দু নারী মুক্তির সবচেয়ে বড় দু’টো ঘটনা হচ্ছে (১) তাদের মাঝে শিক্ষার আলো বিতরণ এবং সেজন্যে ভারতে বসবাসকারী কিছু পশ্চিমা রমনীর দৃঢ়-প্রতিজ্ঞা ও নিরলস প্রয়াস সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ, (২) নারীদেরকে অন্তপুরবাস দশা থেকে মুক্তকরণ, যেখান কেশব সেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিলেত-ফেরত কেশব সেন জীদ করে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দাওয়াতে বের হওয়ার কারণে পিতা কর্তৃক ত্যাজ্য হন।

    @আলমগীর ভাই,
    আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কেবল হিন্দু নারীমুক্তির জন্যই নয়, সকল নারীমুক্তির জন্যই শিক্ষা হলো মূল বিষয়। শিক্ষার অভাবেই যুগে যুগে, কালে কালে, বিশ্বব্যাপী নারীর ওপর মানুষের (পুরুষের) নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে। নারীমুক্তির জন্য তাই শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেসব সেনের কথা শুনেছি। কেসব সেন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। কিছু রেফারেন্স দিবেন কী?

      রামচন্দ্র মজুমদারের ৪ খণ্ডের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বাঙালি জাতির সঠিক ইতিহাস অনুধাবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে। ইতিহাসকে লেখকরা যেভাবে নাচাতে চায়, সেভাবেই নাচাতে পারে। রামচন্দ্র সেখানে প্রধানত সমকালীন নথিপত্রের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। মনে হয়েছে, বাঙালি পাঠক সেখান থেকে আমাদের ইতিহাসের মোটামুটি সঠিক ধারণা পেতে পারে, অবশ্য যতটা সম্ভব সঠিক।

      আপনার কাছেও এ বিষয়ে লেখা প্রত্যাশা করছি।

আইনের পক্ষে মত না দেয়াটা কৌশলগত প্রশ্নে, না নীতিগত কারণে বুঝা না গেলেও, পরে, অভিনন্দন পত্র জানান দিচ্ছে, হয়ত কৌশলগত কারণে ঘটে থাকবে। লেখাটা পড়ে ভাল লাগল। লেখক অনেক অজানাকে তুলে এনে , আমাদের জানিয়ে দিলেন, ধন্যবাদ।

    @স্বপন মাঝি,
    ব্যস্ততার মাঝেও আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যে কারণেই হোক রামমোহন রায় প্রকাশ্যে (অপ্রকাশ্যে তাঁর ভূমিকা যেহেতু আমরা জানতে পারি না) এই আইনের পক্ষে ছিলেন না, এমন ইতিহাস ও প্রমাণ আমরা এখন জানতে পাচ্ছি। ইতিহাস সবসময়ই শাসকশ্রেণির ছত্রছায়ায় রচিত হয় বলে আমরা সাধারণত সঠিক ইতিহাসের সন্ধান পাই না। বিশেষ করে ভারতবর্ষের ইতিহাস বিষয়ে বহু বিতর্ক রয়ে রয়েছে। বহু ইতিহাস এখনো অমীমাংশিত রয়ে গেছে। রামমোহন ব্রিটিশ সরকারের আজ্ঞাবহ ছিলেন বিধায় ইতিহাসে তাঁর বিষয়ে নেতিবাচক কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এ কারণেই এই আইনের পক্ষে কৌশলগত নাকী নীতিগত কারণে তিনি বিরুদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন সেটা আমরা নিশ্চিত হতে পারি না। কেবল অনুমান নির্ভর হয়েও কোন সিদ্ধান্তে আসা যায় না। অনুমান সবসময় ফলাফলে হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তাই নয় কী?

সতীদাহ আইন সংস্কার বিষয়ে রাজা রামমোহনের প্রকৃত ভূমিকা জানতে পারলাম। চমকপ্রদ এই তথ্য দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


আপনার মতামত দিন

আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।