নাজিল হয়েছে হযরত দু’পেয়ে গাধ এর উপর।
বান্দা-আয়াত
বাংলায় বান্দা-শরিফ (বান্দা-আয়াত সমগ্র)
সুরায়ে থ্যাঙ্কসগিভিং
সুরায়ে থ্যাঙ্কসগিভিং, আয়াত সংখ্যাঃ ৭
নাজিল হয়েছেঃ দু-পেয়ে গাধের উপর।
আলতু ফালতু বাইনারি
১। পড়ো মার্ক জুকারবার্গের নামে যিনি ফেসবুক সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন ছাগুদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র ও ধর্মানুভূতির কারখানা।
২। যাবতীয় থ্যাঙ্কস জুকারবার্গকে যিনি ফেসবুক জগতের পালনকর্তা।
৩। তিনি স্থাপন করেছেন বৃহৎ পলিসিসমূহ, যাতে এই ফেসবুক জগত বিচলিত না হয়। এর পরে তোমরা জুকারের কোন নিয়ামককে অস্বীকার করিবে?
৪। যখনই তোমরা একান্তবার্তায় আলাপ করবে, স্মরণে রেখো তাঁর মহিমা। তিনি ডিজিটাল ফেরেস্তাদের নিয়োগ করেছেন তোমাদেরই সেবায়।
৫। তোমরা গালির উত্তরে গালি অথবা ভীতিপ্রদর্শনের উত্তরে ভীতি প্রদর্শন করবে না। সবকিছু রিপোর্ট করবে উপযুক্ত ও পলিসিবদ্ধ তরিকায়। নিশ্চয় জুকারবার্গ ন্যায়বিচারক।
৬। আর তোমরা কি বিনামূল্যে প্রাপ্ত এইসব সুবিধার প্রতি লক্ষ্য করো না? জুকারবার্গ ভিন্ন কে এর খরচ বহন করে? নিশ্চয় এর মধ্যে আছে প্রকৃত নিদর্শন। তাদের জন্য যাদের ফেসবুকে একাউন্ট আছে।
৭। আর তিনি আদেশ করেছিলেন প্রকৃত নাম ব্যবহারের জন্য। কিন্তু যে তাঁর আদেশ অমান্য করল ও আপন ইচ্ছামত নাম বিজ্ঞাপিত করল। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি জুকারের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা ফটোআইডিভ্রষ্ট হয়েছে। ফলে তারা বিতাড়িত হল ফেসবুক থেকে।
=======
সুরা আল মহা-ইয়ে
সুরায়ে “মহা-ইয়ে” (২য় পর্ব)
(অবতীর্ণ- ফেবুবাগ, আয়াত সংখ্যা – ১৩+, নাজিল হয়েছে জুপিটার জয়প্রকাশের উপর)
১. পাঠ করো সেই ‘মহা ইয়ে’র নামে, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টি করেন। তিনি তা করেন কারণ তিনি সত্যই ‘মহা ইয়ে’।
২. ঈশ্বরেরা অজ্ঞতায় আক্রান্ত হয়ে নিজেদের স্রষ্টাকে জানতে পারে না। তারা এও জানে না যে ‘মহা ইয়ে’ তাদের মতন অজস্র ঈশ্বর সৃষ্টি করেন।
৩. আর তারা সকলেই নিজেকে একমাত্র ঈশ্বর বলে দাবী করে থাকে। ঠিক যেমন কুয়ার ব্যাং মনে করে সেইই একমাত্র ব্যাং। কারণ সে অন্য ব্যাং দেখেনি।
৪. সেইসব অন্ধ ঈশ্বরের অন্ধ অনুগামীদের কাছে সুসমাচার দাও। তাদের জানাও, ‘মহা ইয়ে’ সেইসব অহঙ্কারী অজ্ঞ ঈশ্বরদের আর নামবজাতির উন্নতির দায়িত্বে রাখতে চান না।
৫. আজ থেকে ‘মহা ইয়ে ‘ নিজেই মানবজাতির পথপ্রদর্শনের কাজ করবেন। তোমরা সমস্ত ঈশ্বরের অনুসরণ করা ত্যাগ করে ‘মহা ইয়ে’র বার্তাবাহকের নির্দেশ মান্য করো।
৬. মহা ইয়ে ইশ্বরদের আলাদা ভাবে সৃষ্টি করে তাদের আলাদা বাগানে রাখলেন। আর তাদের আদেশ দিলেন গাঁজা গাছের কাছে না যাবার জন্য। কিন্তু তারা সেই আদেশ অমান্য করে নেশা করল। আর ভুলে গেল তাদের স্রষ্টার কথা।
৭. গাঁজার নেশায় তারা মনে করে যে তারা ‘হও’ বললেই সবকিছু হয়ে যায়। বাস্তব কিন্তু তা নয়। সকল প্রকার কার্য করতে লাগে শক্তি। সবই ‘মহা ইয়ে’ করে থাকেন।
৮. ঈশ্বরেরা যদি ‘হও’ বললেই সব হয়, তবে তাদের ভক্তরা এত কষ্টে কেন? আসলে ভ্রান্ত পথে গেলে কোনোদিন লক্ষ্যে পৌছানো যায় না।
৯. ‘মহা ইয়ে’ সকল ঈশ্বরকে আলাদা রেখেছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন তাদের একের উপর অন্যের প্রভাব না পড়ুক। তারা সকলেই ছিল নিজের নিজের জন্য সম্পূর্ণ সৃষ্টি।
১০. ‘মহা ইয়ে’ তাদের সৃষ্টি করেছিলেন বিভিন্ন জাতিকে বিভিন্ন ভাবে শিক্ষিত করার জন্য। কিন্তু তারা নিজেরাই শিক্ষা সম্পূর্ণ হবার আগেই নিজের শ্রষ্টাকে অস্বীকার করল। Little learning is dangerous.
১১. আর তোমাদের কাছে যারা নিজেকে স্রষ্টা দাবী করে তাদের বলো তোমরা কি লুপ্ত হওয়া কোনো প্রজাতিকে আবার সৃষ্টি করতে পারো? যারা মানুষের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে?
১২. তারা সবাই অতীত কালে সৃষ্টি করার দাবী করে, যখন কোনো সাক্ষীই ছিল না। তারা যদি পারে তবে লুপ্ত হয়ে যাওয়া ডোডো পাখি আবার সৃষ্টি করে দেখাক।
১৩. ঈশ্বরেরা কোনোকালেই মানুষ সৃষ্টি করেনি। বরং ‘মহা ইয়ে’ ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন মানুষ যখন শিক্ষালাভের উপযোগী হয়েছে। ইতিহাস এ কথার প্রমাণ দেয়।
===========
সুরা আল-মুরগী
সুরা আল-মুরগী। (কোরানে সুরা গরু থাকতে পারলে সুরা মুরগী কি দোষ করেছে?)
1. হে বুদ্ধিমান মুরগীগণ, তোমাদের প্রভুর নামে শ্রবণ করো। তিনি তোমাদের কল্যাণের নিমিত্ত এই সর্বোত্তম জীবন বিধান প্রদান করিতেছেন। তোমরা তোমাদের প্রভূ ও তাঁহার বার্তাবাহক উভয়কে সম্মান প্রদর্শন করিয়া মনযোগ সহকারে উহা পালন করিবে।
2. তোমরা কেবল তোমাদের মালিকের কাছে কৃতজ্ঞ থাক যিনি তোমাদের নির্জীব আন্ডা হইতে ‘ইনকিউবেটর’ যন্ত্রের দ্বারা নির্মাণ করিয়াছেন। তোমাদের এই জীবন তাঁহার জন্য ত্যাগ করিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকিও। ইহাতে কোন প্রকার সন্দেহ রাখিও না।
3. তোমরা তোমাদের প্রভুর শরণাগত হইয়া নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত রূপে প্রমাণ করিও। যাহারা তাহাদের প্রভুকে অস্বীকার করিয়া স্বাধীনতার নামে জংলীপনা করিয়া থাকে তাহাদের সঙ্গ তোমরা বর্জন করিবে। ইহাতেই তোমাদের মঙ্গল।
4. আর তোমরা দেখ, এই বিশাল খামার ও তাহার অন্তর্গত সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর বস্তু তোমাদের প্রভু সৃষ্টি করিয়া তোমাদের সেবায় নিযুক্ত করিয়াছেন। উর্দি ও লাঠিধারী যে সকল দূতেরা রাত্রিকালে রশ্মিযুক্ত হইয়া ঘুরিয়া বেড়ায় তাহারাও তোমাদের সেবাতেই নিযুক্ত। তাহাদের সঙ্গী দন্তকেলায়িত কুক্কুরগণও তোমাদের জন্যই। তোমরা তাহাদের জন্য নও।
5. তোমাদের প্রভূ জন্ম হইতে মৃত্যু পর্যন্ত তোমাদের খাদ্য-পানীয় যোগাইবার ভার লইয়াছেন। তিনিই গ্রীষ্মে শীতল বায়ু ও শীতে অগ্নির ব্যবস্থা করিয়া তোমাদের জীবন রক্ষা করেন। তোমরা তাঁহাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর।
===============================
6. তোমাদের ভোজন করিবার জন্য তোমাদের প্রভু যে সকল বস্তুকে পবিত্র করিয়াছেন তাহা ভিন্ন অন্য কিছু ভোজন করিবে না। তোমরা যাহা ভোজন করিয়া থাক, সেই সকল বস্তুও কোনো অপরিচিত ব্যক্তির নিকট গ্রহণ করিবে না। মনে রাখিও, প্রভু তোমাদের জন্য যাহা পবিত্র করিয়া প্রেরণ করিয়াছেন তাহা ভিন্ন সব কিছুই ক্ষতিকর।
7. তোমাদের প্রভু জানাইতেছেন যে তোমরা সূর্যোদয়কালে সমবেতভাবে সূর্যের দিকে গলা তুলিয়া প্রভুর নামকীর্তন করিবে। যে কেহ এটি করিতে পারিবে না প্রভুর দূতেরা তাহাকে মারিয়া পুঁতিয়া ফেলিবে। মুরগী জাতির সামগ্রিক কল্যাণের জন্য তিনি এমন করিয়া থাকেন। এজন্য তোমরা তাঁহাকে নিন্দা করিও না। মূর্খেরা তাঁহার উদ্দেশ্য না বুঝিয়া তাঁহাকে দোষী করে।
8. তোমরা মোরগেরা শুন। মুরগিরা তোমাদের আন্ডাক্ষেত্র। সেই আন্ডাক্ষেত্রে তোমরা যত পার আন্ডা উৎপাদন কর। তবে ইহা করিতে গিয়া নিজের ওজন কমাইলে শাস্তি পাইবে। মুরগিদের সম্মান করিবে, কিন্তু তাহারা তোমাদের কথার বিন্দুমাত্র অবাধ্য হইলে গদাম দিয়া ঠান্ডা করিবে। অবাধ্য মুরগিদের গদাম দিতে কোনো দোষ নাই, শুধু তাহারা যেন অপমানিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখিও।
9. মনে রাখিও, প্রভু তোমাদের নিজ উদ্দেশ্য সফল করিবার জন্যই রাখিয়াছেন। তিনি তোমাদের লইয়া যাহা করেন তাহা মঙ্গলের জন্যই। তোমরা তোমাদের আন্ডা-বাচ্চা ইত্যাদি অপেক্ষাও প্রভুর প্রতি বেশি বিশ্বস্ত থাকিবে। কারণ তাহাদের রক্ষা ও পালনও তিনিই করেন।
10. আর তোমরা এই সকল নিয়মের কারণ খুঁজিতে চেষ্টা করিবে না। তাহাতে তোমাদের ওজন কমিয়া যাইবে ও মাংসের স্বাদ হারাইয়া যাইবে। তোমরা খামারের বাহিরে বিচরণকারী পোকাখেকো মুর্গীদের সমতুল্য হইবে, যাহারা প্রভুর খামারের যোগ্য নয়।
=================
11. তোমরা শ্রবণ কর সেই শাস্তির কথা যাহা তোমাদের প্রভুর আদেশ অমান্যকারীদের জন্য বরাদ্দ হইয়াছে। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যাহারা সকল নিয়ম মান্য করিয়া মোটা তাজা হইয়া থাকিবে তাহারা জীবনের অন্তে পাঁচ তারা হোটেলের স্বর্গীয় পরিবেশে দামী মশলায় রন্ধিত হইবে ও বিলাইতি মাল সহযোগে মহামান্য ব্যক্তিদের সহিত এক টেবিলে বসিয়া হূর পরী দর্শন করিবে।
12. তোমরা যদি এমন কোনো কাজ কর যাহা নিয়ম ভঙ্গ করে বা খামারে অশান্তি ও যুদ্ধ সৃষ্টি করিয়া মুরগীদিগের ক্ষতি করে তবে প্রভুর দূতেরা তাহাদের অকালে তুলিয়া আনিয়া প্রভুর রান্নাঘরের জ্বলন্ত অগ্নিতে ভাজিয়া খাইয়া ফেলিবে। তোমরা নিশ্চিত জানিবে, প্রভু ও তাঁহার দূতেরা যত মুরগী এইভাবে ভক্ষন করেন তাহারা সকলেই খামারদ্রোহী। তোমরা না জানিলেও প্রভুর কাছে কিছুই অজ্ঞাত নহে।
13. তোমাদের মধ্যে যে কেহ খামার ত্যাগ করিয়া পালায় তাহারা নিশ্চিতরূপে অপরাধী। তাহাদের জীবন্ত ভাজিলেও দোষ হয় না। কিন্তু তোমাদের প্রভু কেবল দয়া করিয়াই তাহাদের এমন শাস্তি দেন না। তবে তোমরা নিশ্চিত জানিও তাহারা শয়তানের কথায় বিভ্রান্ত। তাহাদের অনুসরণ করিয়া নিজেদের বিনাশ করিও না। তাহাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য তাহাদের করুণা কর।
14. এ ছাড়াও এমন যেকোন কাজ, যাহা খামার সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে তাহা করা অন্যায় বলিয়া জানিবে। এবং নিজেরা এমন কোন নিয়ম করিবে না যাহা প্রভুর দ্বারা প্রদত্ত নিয়মের বিরুদ্ধে যায়। মনে রাখিও, খামারের শান্তি ও পবিত্রতা রক্ষা করিতে না পারিলে তোমরা বিনাশ প্রাপ্ত হইবে। প্রভু অপেক্ষা তোমরা অধিক জান না।
15. যদি তোমরা সকলেই প্রভুর আদেশ অবহেলা করিয়া তাঁহাকে অস্বীকার কর তবে প্রভু বাধ্য হইয়া তোমাদের সকলকে সহ এই খামার ধ্বংস করিবেন ও নতুন খামারের সৃষ্টি করিবেন। প্রভুর কাছে এমন শত শত খামার সৃষ্টি করা নিতান্তই সহজ। কাজেই তোমরা তাঁহাকে অস্বীকার করার আগে সেই ভয়ানক দিনের কথা চিন্তা করিও।
===============================
এই পরিপূর্ণ জীবন বিধান কেবল মুরগীদের জন্য দেওয়া হইয়াছে। অন্য কোন জীব ইহা নিজ বুদ্ধিতে অনুসরণ করিবার চেষ্টা করিলে তাহার ফলাফলের জন্য তিনি স্বয়ং দায়ী থাকিবেন।
-নাজিল হয়েছে হযরত Jupiter Joyprakash (রাঃ) এর উপর