৩ ডিসেম্বর ১৯৭১, এই দিনে ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং ১৬ ই ডিসেম্বর ঢাকার রমনা রেস কোর্স ময়দানে ভারতীয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত সিং অরোরা’র উপস্থিতিতে পাকিস্তানি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল্লাহ খান নিয়াজী এক দলিলে দস্তখত করে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়।
বিজয়ের মাস এই ডিসেম্বর। আনন্দ আর আবেগ দিয়ে ভরা মুক্তিযুদ্ধনামা লিখে স্মৃতিচারণ করে চলছে বাঙালিজাতি ৪৬ বছর ধরে। আমরা আনন্দে বিহ্বলিত হই স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরে একই সাথে দুঃখে ভারাক্রান্ত হই ৩০ লক্ষ্য শহীদের কথা মনেকরে, কিন্তু ভেবেদেখেছেন কি কখনো ১৬ ডিসেম্বর ‘৭১ এর পরে একমাত্র পতাকা ছাড়া বাঙালি জাতি আর কি পেয়েছে? এই পর্যায়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের অবস্থার কথা চিন্তা করুন, ১৯৪৫ এর পরে ধ্বংসস্তুপ থেকে এক এক করে কি করে আবার ইউরোপের দেশগুলো গড়ে উঠলো ৪ টি মিত্রশক্তির প্রত্যক্ষ প্রভাবে, এই মিত্রশক্তির দেশ গুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সোভিএট্ ইউনিয়ন এবং ফ্রান্স। একা কোনো দেশ করেনি, মিত্রশক্তি যেমন যুদ্ধ করেছে সমষ্টিগত ভাবে তেমনি ইউরোপের বিনির্মাণ ও করেছে যৌথভাবে, তাতে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যয়ভার ও মিত্রশক্তির প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয়। জুলাই ৭ থেকে আগস্ট ২, ১৯৪৫ পর্যন্ত পটসডাম কনফারেন্সে বিজয়ী শক্তিগুলো একত্র হয়েছিল। পটসডাম কনফারেন্সের যে সমস্থ চুক্তি গৃহীত হয়, যা অবশেষে ইউরোপের, বিশেষ করে জার্মানির, ভবিষ্যতকে নির্ধারণ করে। সেই কম্প্যারেটিভ আলোচনায় পরে আসছি আগে দেখে নেই ১৬ ডিসেম্বরে পর বাংলাদেশের কাঙ্খিত বিজয় বাঙালিদেরকে কতটুকু দিয়েছে।
৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষের মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ মিত্র শক্তি ভারত তার সশস্ত্র যুদ্ধ মুক্তিবাহিনীর সাথে একত্রে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, এবং মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই শত্রুকে পরাজিত করেছিল। ভারতের প্রধান মন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার আগে ৮ মাস ধরে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন বিশ্বনেতাদের সাথে, ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, মস্কো, প্যারিস, পিকিং ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি, তাদেরকে বর্ণনা করেছেন ১ কোটি শরণার্থীর ভারতে আশ্রয় এর কথা, পাকিস্তানী সৈন্যদের দ্বারা প্রতিদিন সংঘটিত বাঙালি হত্যাযজ্ঞ ও নারীধর্ষণের কাহিনী। ভারত পাকিস্তানের সাথে লড়াই শুরু করে ৩ ডিসেম্বরে, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন এর কাছ থেকে বাঙালিদের হত্যার বিরুদ্ধে সমর্থন ও সহানুভূতি লাভ করতে ব্যর্থ হন, তখন তিনি অবশেষে একটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং ৯ আগস্ট তারিখে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে একটি ‘শান্তি এবং সহযোগিতার চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন। সেই চুক্তির আওতায় সোভিয়েত ইউনিয়ন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সিদ্ধান্তের পক্ষে এবং বাংদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বার বার ভেটো দেয়। এমনকি ৩ ডিসেম্বরে ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করার পরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, ভারতকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দে তখন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন তার বিপরীতে ভেটো দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্রশক্তির পরিচয় দিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পটসডাম কনফারেন্স এর আগেও যুদ্ধ চলাকালীন সময়ই ‘তেহরান কনফারেন্স’ ২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর, ১৯৪৩ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে স্তালিন, রুজভেল্ট এবং চার্চিল যুদ্ধ শেষে ইউরোপের পুনঃগঠন ও মিত্র শক্তির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন ও একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এছাড়াও যুদ্ধ শেষ হবার কিছু আগে ‘জালটা কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয় ৪ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৫ সনে, তাতেও স্তালিন, রুজভেল্ট এবং চার্চিল একত্র হন। এখানে এই চুক্তি গুলো নিয়ে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো এধরণের একটা বিশ্বযুদ্ধের পর যেখানে ১৬ মিলিওন মানুষ জীবন দিয়েছে পুরো ইউরোপ কে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তখন কোন দেশের একার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা তা পুনর্নির্মাণ করা।
১৬ ডিসেম্বরের পরেই প্রকারান্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দায়িত্ব মুজিবনগর সরকারের হাতে চলে যায় , ২২ ডিসেম্বরে মুজিবনগরে সরকার, যারা সেসময় ভারতে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজুদ্দিন আহমদ, মন্ত্রী মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কর্নেল মো। মোহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানি, ঢাকা ফিরে এসেছেন।
২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকারের সকল সদস্য ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রি তাজউদ্দিন প্রথম মন্ত্রিসভা রদবদল করে মুস্তাক কে পররাষ্ট্র মন্ত্রির পদ থেকে অপসারণ করেন, কারণ যুদ্ধ চলা কালিন অবস্থায় মুস্তাক তার পররাষ্ট্র সচিব মাহবুবুল আলম চাষির মাধ্যমে ওয়াশিংটন দুতাবাসের প্রতিনিধি কে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছিলে জেনো পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ নাকরে একটি কনফেডারেটস রাষ্ট্রের সমঝোতা করা যায়, সে ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাজউদ্দনের সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিলোনা, তাই প্রথমেই তিনি তাঁর মন্ত্রিসভার প্রয়োজনীয় রদবদল করলেন।
বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন পাকিস্তানের কারাগার থেকে লন্ডন হয়ে ঢাকায় ১০ জানুয়ারী, তার আগে কয়েক ঘন্টার জন্যে দিল্লীতে যাত্রা বিরতিতে ইন্দিরা গান্ধিকে বললেন, “কবে ফিরে নেবেন আপনার সৈন্য বাংলাদেশ থেকে”? ইন্দিরা গান্ধী জবাবে বলেছিলেন “আপনি যখন চাইবেন তখনি ফিরে আনা হবে”। যদিওবা বঙ্গবন্ধু যানতেন দেশটি ধূলিসাৎ করেছেন ৯ মাসে পাকিস্তানি বোমা, ৯৩ হাজার সৈন্য ভারতে যুদ্ধবন্দী আছে, ৩০ লক্ষ বাংলাদেশি শহীদের পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি, যুদ্ধাপরাধীরা ওৎ পেতে আছে যে কোনো সময় আবার হত্যাজগ্য চালাতে পারে।
কেমন ছিল সেদিনের বাংলাদেশ কী কী ঘটেছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর? সেই ১৯৬৮ থেকেই ঢাকা ছিলো উত্তাল প্রতিবাদি এক শহর, ১১ দফার আন্দলনের মাধ্যমে আইয়ুব খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা, ৬৯ রে গণ আন্দোলন, ৭০ রের নির্বাচন, যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগেও ঢাকা শহর ছিল সভা-সমাবেশ ও মিছিলের শহর। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি দিনই ছিল ঘর ছেড়ে পথে নেমে আসার দিন। বাঙালিদের জীবনে ঘর এবং রাজপথ ওই দিনগুলোতে একই সুতোয় গাঁথা হয়ে গিয়েছিল। ঢাকার রাজপথগুলো তখন মানুষে মানুষে হয়ে উঠত উত্তাল প্রতিবাদের মেলা। সময়টা ছিল বাঙালিদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সন্ধিক্ষণ। নেতা ফিরে এলেন, বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ৯ মাসের কারাবাস থেকে। অর্থ নেই, খাদ্য নেই, কলকারখানা ধংস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধংস, রাস্তাঘাট ধংস, চিকিৎসাসেবা সীমিত, গনহত্যায় ৩০ লক্ষ প্রান দিয়েছে।
আবার ফিরে আসি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তী ইউরোপ দৃশ্যপটে, জুলাই ৭ থেকে আগস্ট ২, ১৯৪৫ পর্যন্ত পটসডাম কনফারেন্সে বিজয়ী শক্তিগুলো একত্র হয়েছিল। ‘পটসডাম চুক্তি’টি চারটি মুল নীতিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ভবিষ্যতে পরাজিত জার্মানিকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করলেও নতুন জার্মান জাতিকে শায়েস্তা করার জন্যে ব্যবহার করা হয়নি। জার্মানি কে দুভাগ করা হয়, সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে পুর্ব জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এর নেতৃত্বে পশ্চিম জার্মানি।
৪ টি বছর সময় লেগেছিল অবকাঠামো বিনির্মান, অর্থনৈতীক সমাধান, নাৎসি হত্যাযজ্ঞের বিচার, ১৪ মিলিওন মানুষ যারা জীবন দিয়েছিল তাদের পরিবারবর্গের প্রত্যাবাসন করান, জার্মান রাষ্ট্র গঠনে ও পুর্বইউরোপের দেশগুলির অস্তিত্ব খুজে পেতে সহায়তা, যাতে বিপুল অর্থ আর লোকবল প্রয়োজন ছিলো। বঙ্গবন্ধু নিশ্চই যানতেন এসব, কিন্তু তবুও কেনো মিত্রশক্তি (ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন) ছাড়াই ভঙুর বাংলাদেশটার অর্থনীতি, ভৌগলিক সীমারেখা, সৈন্যবিনিময়, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ, রাজাকারদের বিচার, পাকিস্তানের সাথে দেনাপাওনার মীমাংসা ছাড়াই, এমনকি দেশের অন্যান্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ কারী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই বাংলাদেশ টা একক ভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব নিলেন? যুদ্ধপরবর্তী চুক্তি সমূহ যে কতটা জরুরি বিশেষ করে এই ধরণের বিশাল হত্যাকাণ্ডের পর তা আমরা এখন উপলব্ধি করছি। ‘পটসডাম চুক্তি’, ‘তেহরান চুক্তি’ ‘জালটা চুক্তি’ হয়েছে বলেই আজও তা কার্যকর ,এইতো সেদিন পোল্যান্ড দাবি করে বসলো তাদেরকে এক ট্রিলিয়ন ডলার যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের সাথে মিত্রশক্তির (ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন) কোনো চুক্তি নেই কাজে কাজেই ক্ষতিপূরণের দাবি বাংলাদেশ হাজার বার করলেও তার কোনো গুরুত্ব নেই, অথচ ২৩ বছর পাকিস্তানের সাথে একই ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা ও টাকশাল ছিল সেসময়ের পাকিস্তানের স্বর্ণ মৌজুতের পরিমান ছিল প্রায় একহাজার মেট্রিক টন রিসার্ভ ব্যাঙ্ক এর টাকার হিসেবের অর্ধেক ও বাংলাদেশ পায়নি। আর কোনো চুক্তি না থাকায় ৩০ লক্ষ্য মানুকে হত্যা করেও একটি পয়সাও ক্ষতিপূরণ দিতে হয়নি পাকিস্তানকে তা বাংলাদেশ একা কখনোই আদায় করতে পারবে না।
যেহেতু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে মিত্রশক্তি আর পরাজিত শক্তির মাঝে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি (একমাত্র শিমলা চুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের সাথে হয়েছে) সেহেতু ৩০ লক্ষ্য বাঙালিকে যে গণহত্যা করেছে পাকিস্তান তার ক্ষতিপূরণের জন্য কিভাবে পাকিস্তানকে বাধ্য করা যাবে? অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে ৭০ বছর আগে এখনো অনেক দেশ এবং জাতিগোষ্ঠী ক্ষতিপূরণ চায় ও পায় যেমন জিপসি, রোমা, সিন্তি পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, এমনকি পোল্যান্ড এবছর সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানি ও মিত্রশক্তির কাছে এক ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
যদিওবা ১৬ ই ডিসেম্বরে পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণের দলিল তিন প্রস্থে প্রস্তুত করা হয়েছিল। একটি প্রস্থ ভারত সরকার এবং দ্বিতীয় প্রস্থ পাকিস্তান সরকারের নিকট সংরক্ষিত আছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্য দলিলটি বাংলাদেশে নেই। শুধুমাত্র যে টেবিলে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল, শোনা যায় টেবিলটি নাকি ঢাকা ক্লাব থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেই টেবিলটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩৭ সংখ্যক প্রদর্শনী কক্ষে সংরক্ষিত আছে। ওটাই একমাত্র বাংলাদেশের বিজয় দিবসের স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জাদুঘরে। আমার ছেলেমেয়েরা যখন তাদের মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায় তখন বলি ঐতো টেবিলটা রয়েছে, এছাড়া আমরা আর তো কিছু পাইনি।
এব্যপারে আমার আরো ২ খন্ডের সমীক্ষা চলবে তাতে শিমলা চুক্তি, ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময় এবং বাংলাদেশ কতটুকু পেয়েছে ইত্যাদি আর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তী ইউরোপের সাথে মুক্তিযুদ্ধত্তর ঘটনার কম্পারেটিভ সমীকরণ থাকবে।