৩
১২৯৫ বার পঠিত
বহু মুসলিম এবং তাদের সমর্থক দাবী করে থাকে আজকাল দুনিয়াজুড়ে এক ধরনের মাথাপাগল লোকের সংখ্যা বাড়ছে যারা কীনা ইসলাম সম্পর্কে আতঙ্কিত এবং আতঙ্ক ছড়ানোর কাজে নিবেদিতপ্রাণ। আরও বেশি পরিষ্কার করে বলতে গেলে মুহাম্মদ সম্পর্কে আতঙ্কিত।
অবশ্য মহম্মদ এবং ইসলাম প্রায় সবদিক দিয়েই সমার্থক। ইসলাম ধর্ম হিসাবে মুসলিমরা যা পালন করে থাকে, তা আসলে মুহাম্মদের দেওয়া উপদেশ এবং তাঁর জীবনকালে করা কাজকর্মের যথাসাধ্য অনুসরণমাত্র।
ইসলাম–ফোবিয়া শব্দটি মুসলমানরা সেইসব বিধর্মী-নাস্তিকদের উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে যেসব মানুষ মুহাম্মদের প্রচারিত মধ্যযুগীয় অচল অসভ্য বিভেদবাদী জঙ্গী মতবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে।
মুহাম্মদের মতবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যুদ্ধের দ্বারা বিধর্মীদের ভয় দেখিয়ে ইসলাম ধর্ম বা ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সমাজের আধিপত্য বিস্তার করে বিধর্মীদের উপর প্রভুত্ব কায়েম করার উদ্দেশ্যে যেকোনো পদক্ষেপই ইসলামি পরিভাষায় জিহাদ বলে সম্মানিত। যেমন- সেক্স জিহাদ, লাভ জিহাদ ইত্যাদি। যারা জিহাদে অংশ নেয় তাদের সম্মান ইসলাম ধর্মমতে আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ।
যারা ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করেনা তাদের আতঙ্কিত করাটা ইসলাম ধর্মের অন্যতম অংশ।
বুখারী (৫২/২২০) থেকে জানা যায়-
“আল্লার রাসুল বলেছেন… আমি জয়ী হয়েছি সন্ত্রাসের দ্বারা”।
কেবল আল্লাহর রাসুল নয়, আল্লাহ নিজেও অবিশ্বাসীদের আতঙ্কিত করতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন
কোরান, (৩:১৫১) মতে,
“Soon shall We cast terror into the hearts of the Unbelievers, for that they joined companions with Allah, for which He had sent no authority”.
অর্থ: খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুতঃ জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।
এখানে আল্লাহ নিজেই অবশ্বাসীদের অন্তরে আতঙ্ক ছড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হয় নি। স্বাভাবিকভাবেই যারা আল্লাহকেই বিশ্বাস করে না তারা এই হুমকিতে ভয় পায় নি। অতএব আল্লাহ একা সুবিধা করতে না পেরে মুহাম্মদকেই সেই কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছেন।
কোরান, (৮:১২) মতে,
“I will cast terror into the hearts of those who disbelieve. Therefore strike off their heads and strike off every fingertip of them”
অর্থ: যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
অর্থাৎ যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না তাদের হত্যা করা হবে। প্রথমেই মাথা কেটে, তারপর আঙুল কাটার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। এতে ভাল করে আতঙ্ক ছড়ানো যায়।
মূলত এটাই ইসলাম প্রচারের মূল ত্বরিকা। প্রথমে আল্লার মৌখিক হুমকি শুনিয়ে বিধর্মীদের আতঙ্কিত করে মুসলমান বানাতে হবে। যারা এতে ভয় পাবে না, তাদের হত্যা করতে হবে।
মহম্মদ সিনড্রোম:
অনেক স্বঘোষিত ইসলামি এক্সপার্ট বলে থাকেন যে স্টকহোম সিন্ড্রোমের মতো বিধর্মীসমাজ আজকাল মুহাম্মদ সিন্ড্রোমে ভোগেন।
সুইডেনের স্টকহোম শহরে ১৯৭৩ সালের এক ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে ডাকাতরা ২৩ থেকে ২৮ আগস্ট অবধি বেশকিছু মানুষকে আটক করে রেখেছিল। এতোদিন একসাথে থাকায় তাদের মধ্যে বেশ ভালই আলাপ-পরিচয় জমে উঠেছিল। এই ডাকাতদল সম্পর্কে আটক বন্দীরা যে মনোভাব দেখিয়েছিলেন তারই নাম স্টকহোম সিন্ড্রোম। এর প্রধান লক্ষণগুলি ছিল নিম্নরূপ:
(১) বন্দীরা পুলিশ প্রশাসনের ওপর অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন।
(২) সরকারের তুলনায় ডাকাতদলের প্রতি তাঁদের সহানুভূতি বেশি দেখা গিয়েছিল।
(৩) তাঁদের মতে ডাকাতরা খারাপ লোক ছিল না। তারা বন্দীদের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেছে।
মুহাম্মদ সিন্ড্রোমের সঙ্গে এর বিশেষ তফাৎ রয়েছে। মুহাম্মদের অনুসারীরা যখন কোনো এলাকা দখল করে, তখন সেখানের পুরো বিধর্মীসমাজকে তারা বন্দী বানিয়ে ফেলে। এই বিধর্মীদের সঙ্গে তারা যা খুশি করার ক্ষমতা রাখে। বিধর্মীরা মুসলিমদের কাছে মাথা নিচু করে থাকতে বাধ্য হয়। আবার মডারেট মুসলিমরাও তাদের জিহাদি ভাইদের কাছে মাথানত করে গোলামী করে। কারণ আল্লার বাণী অনুসারেই জিহাদিরা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী, তাছাড়া তাদের হাতে অস্ত্রও থাকে। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করা উচিত নয়। এই অবস্থাটা ডাকাতদলের হাতে বন্দীদের মতো হলেও সবচেয়ে বড় তফাৎ এই যে, ডাকাতরা কখনও বন্দীদের ডাকাত বানানোর চেষ্টা করে না, যেটা মুসলমানরা করে থাকে।
আরেকটা বড় তফাৎ হলো, হাতে অস্ত্র থাকলে কোনো জিহাদি কাফিরকে দয়া দেখানোর কোনোরকম চেষ্টা করে না। বরং তাদের ধরে ধরে ধর্ষণ, খুন কিংবা দাস-দাসী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়াই আল্লাহর অভিপ্রেত।
স্টকহোম সিন্ড্রোমের সঙ্গে এর মিল হলো যে, সেখানে বন্দীরা সরকারের কাছে যতোটা সাহায্য আশা করেছিল তা পায়নি বলেই তাদের ধারণা। অন্যদিকে ডাকাতদের কাছে তারা যতোটা খারাপ ব্যবহার আশা করেছিল, তার চেয়ে ভাল ব্যবহার পেয়েছিল। এই কারণে সরকারের প্রতি তাদের সহানুভূতি কমে গিয়ে ডাকাতদের প্রতি সহানুভূতি বেড়ে উঠেছিল। এই একই ঘটনা দেখা যায় মুসলিম দখলে থাকা বিধর্মীদের ক্ষেত্রেও। জিহাদি দখলদারদের দেখে মুসলমানদের কাছে তারা যতোটা খারাপ ব্যবহার আশা করে, মডারেট মুসলমানদের কাছে তার চেয়ে একটু ভাল ব্যবহার পেলেই তারা তাদের মাথায় তুলে বসে। ফলে যে মগজধোলাই এর কাজটা জিহাদিদের অস্ত্রের দ্বারা সম্ভব হয় না, সেটা মডারেট মুসলমানদের দ্বারা অতি সহজেই সম্ভব হয়। এই মডারেট মুসলমানরা কিন্তু বিধর্মীদের সর্বদাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, অত্যাচারী জিহাদিরা সহিহ মুসলমান নয়। পুলিশ ইন্টারোগেশনে গুড পুলিশ ব্যাড পুলিশ নাটক যারা বোঝেন তাঁরা বিষয়টা ভাল ধরতে পারবেন।
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন
আগস্ট ১৬, ২০১৫; ৪:০৩ পূর্বাহ্ন
আদার ব্যাপারী কি কখনো সোনার হিসেব বুঝবে? আপনার ভবিষ্যত অন্ধকার। যেদিন আপনার ঠিকানা পাওয়া যাবে সেদিন বুঝবেন। ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের শাস্তি কেমন হয় সেটা আশাকরি আপনার জানা আছে। এতকিছু জানেন তখন এটা নিশ্চয় বলে দিতে হবেনা।
আগস্ট ১৬, ২০১৫; ৪:০৬ পূর্বাহ্ন
আরেক টি কথা খেয়াল রাখবেন, ইসলাম সবকিছু গুনাহ ক্ষমা করতে পারে কিন্তু আল্লাহ এবং রাসুলের অপমান কোনও সহি মুসলমান সহ্য করবে না। আপনি বরং নিজের ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করুন, সেখানে সেক্স স্পেশালিস্ট বাবাজী আছে অনেক। তারা আদর করে আপনাকে তাদের আশ্রমে জায়গা দেবে। জয় রাধাকৃষ্ণ।
আগস্ট ১৭, ২০১৫; ৯:৩১ অপরাহ্ন
আপনিই বলে দিন নিজের ধর্ম বলতে কোনটার কথা বলছেন। আমার সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হয় মানুষ কোনো ধর্ম নিয়ে জন্মায় না। তাই নিজের ধর্ম কথাটার কোনও অর্থ নেই। অন্যদিকে আপনারা দাবী করেন সব মানুষই মুসলিম হিসেবে জন্মায়। এটাই যদি হয় তাহলে সকলেরই তো শুধুই ইসলাম নিয়ে রিসার্চ করা উচিত। অন্য কোনো ধর্ম নিয়ে রিসার্চ করতে বলছেন কেন?