০
৮৯৫ বার পঠিত
: বহু বছর হয়ে গেছে, আমার যোনীতে আমি এখন আর ব্যথা অনুভব করি না।
: কিন্তু তুমি কাউকে বলোনি কেন?
: আমি হতভম্ব ছিলাম। মা প্রতিনিয়ত দেখতো আমার যোনি রক্তাক্ত, তিনি কখনো কিছু করেন নি। আমি ভাবতাম এসব প্রতিদিন করে। আমার বয়স ছিল তখন ৭ বছর। এখন আমার একুশ বছর বয়স।
: তখন থেকে? যতদিন পর্যন্ত তুমি ছেড়ে না এলে? রোজ?
: প্রায়, যতোক্ষণ না আমি ছেড়ে আসার পরিকল্পনা করি।
আমরা ‘লেবু চা’ উপভোগ করছিলাম। আমি তার চোখের ভেতরটা দেখি। তার কোন ভাবান্তর ছিল না। বস্তুত এসব নিয়ে সে আর মাথা ঘামাচ্ছিল না। আমি তাঁর সিগারেটের প্যাকেটটি নিলাম। আমরা দু’জন একটি ভাগাভাগি করলাম। আমি দেখতে পেলাম তার মুখে ম্লান হাসি।
: জানো, ঐ পরিবারের সব পুরুষ আমাকে ছুঁতে চেয়েছে। মামা, চাচা, খালু। কিন্তু, কিন্তু বাবা…
:কী? সে কী করেছিল?
: সে তাদেরকে থামায় নি।
ক্যান্ডি ফ্লজ কেনার জন্য সে তাঁর হাতব্যাগটি খুললো। আমি ব্যাগের ভেতর কনডম দেখতে পেলাম। আমি কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। জানতাম সে আমাকে সবকিছু খুলে বলবে। কারণ সে আমার ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে যাচ্ছে।
: সে তাঁদের থামায় নি। কারণ, সে পরিশ্রম ছাড়া উপার্জন করতে চেয়েছিল এবং আমি ছিলাম তার জন্য একমাত্র সুযোগ। যদিও সে আত্মীয়পুরুষ ছাড়া বাইরের অন্যকোন পুরুষকে ছুঁতে দেয় নি আমায় এবং এটা ছিল তার কাছে গর্বের বিষয়।
: শ্রুতি, কেন তুমি পুলিশের কাছে যাও নি?
: কারণ আমি যখনই কিছু করতে চেয়েছি আমাকে বলা হয়েছে আমার বুক কেমন করে সবার নজর কাড়ে এবং আমাকে বলা হতো সেগুলো দেখাতে এবং তারপর…
: এবং তারপর?
: আমাকে বলা হতো সেগুলো কামড়াতে এবং তাদের সেই দাগগুলা দেখাতে।
আমি লক্ষ করলাম তাঁর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। সে হচ্ছে সেইসব ক্ষতবিক্ষত মেয়েদের একজন , যাদের আপনারা দেখতে পাবেন। সবসময় মুখে হাসি লেগে আছে, উৎফুল্ল এবং সবসময় সিগারেট মুখে। কোন বিরতি ছাড়া।
: এবং তারপর?
: নিয়মিত হয়ে আসছিলো এমনটা। হয়ে যাচ্ছিল। আমি আমার বয়ঃসন্ধি পার করলাম। আমার স্কুলে ছিল কঠোর নিয়মানুবর্তীতা এবং আমার কোন বন্ধু ছিল না।
: কাকে বলতে?
: আমার নিজের বাবা-মা আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তুমি কী মনে করো আমার স্কুল আমাকে সাহায্য করতে পারতো?
সে থামল। আর একটি সিগারেট জ্বালিয়ে আমাকেও একটি দিল।
: আমি ছিলাম সাত বছরের এবং আমি ধর্ষিত হয়েছিলাম। সেই কক্ষের মধ্যে আমার মা তাকে চা দিয়ে আপ্যায়ন করতো। আমার বাবা তার কাছ থেকে টাকা নিতো, আমার খুব ব্যথা হতো। আমার পাকস্থলীর নীচে কিছু একটা কষ্ট দিচ্ছিল এবং আমি তার কারণ বুঝতে পারিনি।
: পরের দিন, এসেছিল মামা। আমি খুব খুশী ছিলাম। সে বাদাম হাতে আমার কক্ষে প্রবেশ করল এবং চাচার মতো করে একইভাবে আমাকে ধর্ষণ করল।
আমি পালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, আমি কাঁদছিলাম এবং গোঙাচ্ছিলাম। সে আমার ভেতর কিছু প্রবেশ করাচ্ছিল এবং আমার মনে হচ্ছিলো আমি মারা যাচ্ছি। আর তখন আমি মেঝের উপর শুয়ে পরলাম, উলঙ্গ। আমার কুকুর টিটো, আমার হাত এবং মাথা চেটে দিচ্ছিল আর সেখানে বসে পরল, ঘেউ ঘেউ না করে। এসব চলতে থাকলো। তারা শুধুমাত্র যৌনতৃপ্তি পেতে চেয়েছিল। আমি চাচা এবং মামার দ্বারা পরীক্ষার ঠিক আগে একইদিনে এভাবেই ধর্ষিত হয়েছিলাম। আমার যোনি থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, দিনের পর দিন। আমি আর ব্যথা অনুভব করছিলাম না। তাদের পুরুষাঙ্গ আমার কাছে খুব পরিচিত আর সহজগম্য ছিল, যদিও ছিল তা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি পা ছড়িয়ে দিয়ে সবসময় প্রস্তুত থাকতাম, আমার শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলতাম। আমার আর বাবার মধ্যে তখন কথা প্রায় হতো না। আমি তাদের সহ্য করতে পারছিলাম না। সত্যি বলতে কী আমি তখন অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছিলাম এবং স্বাভাবিকভাবেই আমাকে বলা হয়েছিল গর্ভপাত করাতে।
: এখন তুমি কেমন আছ?
: দারুণ আছি আমি! আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি, যেটাকে আমি সবসময় এঁড়িয়ে যেতে চেয়েছি। একজন পুরুষ এই বিদীর্ণ শরীরটাকে ভালবেসেছে, যাকে সবাই যতোভাবে সম্ভব ব্যবহার করেছে। যৌনতা, ভালোবাসা নয়। এখন, আমি সেই ভালোবাসা পাচ্ছি যা আমি চেয়েছিলাম, আর সেটাই আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আমি তাদের ত্যাগ করে এসেছি, আমি আমার বন্ধুদের সাথে থাকি এবং আমি সুখি।
: তুমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করোনি কেন?
: আমি পারিনি, বাবা এর সাথে জড়িত ছিল। তারা যা আছে তাই-ই থাকুক। আরেকজনের আমি হওয়া বন্ধ করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী আমি। পুলিশ কী করবে? তুমি যেমন সব কিছু লিখে রাখছো এবং সংরক্ষণ করছো। অন্যরাও তাই-ই করবে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এদেশের আইন তোমাকে সাহায্য করবে না। তুমি তোমাকে সাহায্য করতে পারো ও অন্যকেও সাহায্য করতে পারো এবং কর্তৃপক্ষ কিছুই করবে না।
: তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
: হা-হা-হা, আমি এখানে আমার স্নাতক শেষ করবো, বিয়ে করবো, দেশের বাইরে পড়াশুনা চালিয়ে যাবো এবং তারপর রাজের সাথে কাজ করবো।
: তুমি কয়টা বাচ্চা চাও?
: আমার কখনো বাচ্চা হবে না জটিলতার কারণে। আমি ৩০-৪০ বারের বেশী ধর্ষিত হয়েছি। আমি কখনো বাচ্চা নিতে পারবো না। কিন্তু আমি অনেকগুলো কুকুর এবং বিড়াল পালতে চাই এবং সুখে থাকতে চাই…সুখে।
সিগারেটের একটি প্যাকেট খালি হয়ে গেল। আমরা পরস্পর গভীর দৃষ্টিবিনিময় করলাম। আমি তাকে আলিঙ্গন করলাম এবং সে কাজের জন্য চলে গেল। সে তার পরিবারে এমন পুরুষের সাথে বেড়ে উঠেছিল যেখানে তারা তার স্তন এবং যোনীর যতোগুলো সম্ভব নোংরা উপায়ে ব্যবহার করেছিল। না, সে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়নি। সে প্রয়োজনীয় যা করেছে তা হলো, যারা তার অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চায় তাদের কাছে তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে, কিন্তু সে তাদেরকে বিচারের অধীন আনতে চায় না। কারণ সে তার বাবা-মাকে ভালোবাসে। এখন সে একটি এনজিও’তে কাজ করছে এবং মনোবিজ্ঞানের ওপর পড়ালেখা করছে।
তার মুখে এখন হাসি কিন্তু আমরা কী সত্যিই জানি তার হাসির পেছনে ‘বন্ধ করো, আমাকে সাহায্য করো’ আর্তনাদের তীব্রতা?
পাঠক, ব্লগপোস্টটিতে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কমেন্ট করা হয়েছে যার মাত্র কয়েকটি আপনাদের সুবিধার্থে নিচে দেয়া হল:
রুমেলা চন্দ্র:
এটা শুধু বিব্রতকর নয় বরং একইসাথে আশংকাজনক। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য তেমন কিছু করছে না, যাদের সাহায্য প্রয়োজন। যদি নিবন্ধ লিখে বা ভিডিও’র মাধ্যমে তাদের কথা ছড়িয়ে দেয়া যায়, তবে এর মতো আর কিছুই হতে পারে না। লেখাটিকে গতকাল আপডেট করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৫৩৮টি শেয়ার হয়েছে। এটা ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ যতো দ্রুত তদন্ত করতে চায়, তার চাইতে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
বিধুপ্রসাদ মহান্তে:
এটা মাত্র ২ রুপির সমাধান। প্রতিটি মেয়ের উচিত ২ রুপি দিয়ে একটি শেভিং ব্লেড কেনা… এবং আমরা সবাই জানি কখন এবং কীভাবে এর ব্যবহার করতে হয়।
আকাশ রায়:
আমাদের একটি দল গঠন করা উচিত এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়া উচিত এইসমস্ত শিশুগামীদের ধরার জন্য।
>>> ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমি আমার আস্থা হারাচ্ছি।
>>> পুলিশ ঘুষ নেয় এবং নিস্ক্রিয় থাকে, সুতরাং আমাদেরকেই কিছু করতে হবে।
>>> নয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।
>>> বিভিন্ন পাবলিক ফোরাম যেমন ফেসবুক এবং অন্যান্য মিডিয়াতে এ ধরনের লোকের নামপ্রকাশ করে সবার সামনে এদের অপদস্থ করা উচিত।
যারা মূলভাষায় সরাসরি ব্লগপোস্টটি পড়তে চান, তাদের জন্য নিচে লিংক দেয়া হলঃ
I Had To Spread My Legs, Take Off My Clothes, And Be Ready Whenever My Mama And Kaka Came
ই-মেইলে যোগাযোগ করুন