মাঝে মাঝেই পত্রিকায় খবর বের হয়, মক্তব ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাদের বালক শিক্ষার্থীদের বলৎকার করেছে। এ ধরনের অনেক খবর পত্রিকায় আসলেও বেশিরভাগ খবরই চাপা পড়ে যায়। আগে মুসলমানদের মধ্যে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় ছিল, একটু জোতজমি বা ধনসম্পত্তি থাকলেই তাদের বিয়ে করার হিড়িক পড়ে যেতো। এছাড়া কাজের মেয়েকে ধর্ষণ, অফিসের নারী কর্মীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ (মুসলমান ফরহাদ মাযহার যেমনটি করেছিলেন বলে অভিযোগ) বাল্যবিয়ে ও শিশু ধর্ষণ এবং অন্যের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণের ঘটনাও অহরহ ঘটতে দেখা যায়। আধুনিক সমাজের চোখে এসব যতো বড়ো অপরাধই হোক না কেন, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে যতো পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, ইসলামের দৃষ্টিতে এসব কোন অপরাধ নয়, বরং বৈধ। আর এই কারণেই মুসলিম সমাজে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয় না, শিশুধর্ষণ চলতেই থাকে। কারণ মুসলমানদের নবী স্বয়ং মোহাম্মদই বাল্যবিয়ে ও শিশুধর্ষণে অভিযুক্ত। তাছাড়া মোহাম্মদ সমকামী ছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও সমকামীতা কোন অপরাধ নয়। সমকামের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আসলেও এ জন্য তাকে অপরাধী বলা যাবে না। যা হোক, আলী খালাপের লেখা ‘ইসলাম’স হালাল সেক্সুয়াল প্রাকটিস’ শিরোনামে ইসলাম ওয়াচ সাইটে একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল। সেখানে মোহাম্মদের যৌনজীবনের ওপর সামান্য আলোকপাত করা হয়েছে। লেখাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে তার ভাষান্তর দেওয়া হল।
ইসলাম হলো মজা লোটার ধর্ম, এর সঙ্গে রয়েছে যৌনচর্চার গভীর যোগ। কারাগারে বন্দি যৌন অপরাধীদের মধ্যে এই ধর্ম সম্প্রসারিত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর মোহাম্মদ হলো তার অনুসারীদের জন্য পার্ফেক্ট উদাহরণ, কোরআনে তাকে নিখুতভাবে অনুসরণ করার ওপর জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোরআনের সূরা আহযাব এর ২১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“মোহাম্মদের মধ্যে তোমাদের অনুসরণের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ” (৩৩.২১)।
সূরা আল ইমরান এর ৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“যদি তুমি আল্লাহকে ভালবাসতে চাও, তাহলে মোহাম্মদকে অনুসরণ কর এবং আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন” (৩.৩১)
সূরা আল আহযাব এর ৩৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“আইন এবং উদাহরণসমূহ আল্লাহ এবং মোহাম্মদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং যা সকল মুসলমানদের জন্য অবশ্য পালনীয়। যার কোনো ব্যত্যয় হবে না”। (৩৩.৩৬)
মোহাম্মদকে অস্বীকার মানে হল আল্লাহকে অস্বীকার করা (৬.৩৩)
সুতরাং মোহাম্মদের অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। তাকে অনুসরণ করলে বেহেস্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তবে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাকে অনুসরণ করতে অস্বীকার করলে ঠিকই নিশ্চিত নরকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এভাবেই মোহাম্মদের জীবন অনুসরণ করতে গিয়ে তার যৌনজীবন চর্চার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এভাবেই মোহাম্মদের দ্বারা চর্চিত বা ইসলামে অনুমোদিত ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ, বহু বিবাহ, বিয়ে বাহির্ভুত যৌনতা, যৌনদাসীকে ধর্ষণ এমনকী সমকাম চর্চা মুসলিমদের স্বাভাবিক জীবনের অংশ হয়ে আছে। নীচে মহানবীর যৌন চরিত্রের কিছু নমুনা দেওয়া হল।
সমকামী নবী
সুনান বাইহাকী এবং আল হালাবী
এই হাদিস অনুযায়ী, ‘জহির নামে এক ব্যক্তি প্রায় বলতেন, “নবী আমাকে ভালবাসে”। সে বলে, একদিন মোহাম্মদ আমাকে বুঝতে না দিয়ে, পা টিপে টিপে পেছন থেকে এসে আমাকে বিব্রতকরভবে জড়িয়ে ধরেছিল। জহির তখন নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করছিল এবং বলে উঠছিলেন, ‘আমাকে ছেড়ে দাও।’ এরপর যখন মাথা ঘুড়িয়ে দেখলেন, এটা আর কেউ নন, স্বয়ং মোহাম্মদ। তখন নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে সে বিরত থাকে। এরপর নিজের পেছন দিকটা নবীর বুকের কাছে চেপে ধরেন।”
সুনান বাইহাকী, যাকে সুনান বলে চিহ্নিত করেছেন আবু দাউদ (আবু দাউদ হলেন, ছিয়াসাত্তার অন্যতম হাদীস সংগ্রাহক), ‘মোহাম্মদ একজনের জন্য তার জামা তুলে রাখতেন, যে তার নাভি থেকে বগল পর্যন্ত চুমোয় চুমোয় ভরে দিত।’
আল কুরতাবি একজন ইসলামের নির্ভরযোগ্য ও স্বীকৃত ব্যাখ্যাকারী। তার তাফসির,
“আয়েশা বলেন, একদিন মোহাম্মদ নগ্ন হয়ে বিছানায় শুয়েছিলেন, এমন সময় জায়েদ এসে দরজায় করাঘাত করলেন। মোহাম্মদ কোনো কাপড় না পড়েই দরজা খুলে দিলেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে চুমো খেতে লাগলেন।”
এছাড়া নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনে অনুমোদন রয়েছে ইসলামে। (তথ্যসুত্র)
শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের আয়াতসমূহ
সূরা আত্ব তালাম এর ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “যদি তুমি মাসিক হওয়ার আগেই তোমার স্ত্রীকে (শিশু বধু) তালাক দাও, তাহলে তার ইদ্দত হবে তিন মাস”। (Sunan Nasai Bk of Marriage, No 3256:
আয়েশা বলেছেনঃ “আল্লাহর রাসুল যখন আমাকে বিয়ে করলেন, তখন আমার বয়স ছিল ছয় বছর, যখন আমার সঙ্গে যৌন সহবাস করেন, তখন আমার বয়স নয় বছর, তখনও আমি পুতুল খেলতাম”। (Sunan Nasai Bk of Marriage, No 3256)
সুনান অফ বিন থেকে বর্ণিত, মোহাম্মদ বলেন, ”আমি তাকে জড়িয়ে থাকতাম, যখন সে শিশু। প্রচন্ড যৌনাকাঙ্খার জায়গা থেকে তার সঙ্গে রঙতামাশা করতাম”।
আহম্দ বিন হানবাল এর মুসনাদ হতে বর্ণিত, ‘একবার মোহাম্মদ দুই তিন বছরের একটি কন্যা শিশুকে তার মায়ের কোলে দেখে খুবই আপ্লুত হয়ে বলেছিল,
“আল্লাহর কসম, এই কন্যার যদি বিয়ের বয়সে পৌঁছে, আমি যদি ততদিন বেঁচে থাকি, তাহলে আমি তাকে অবশ্যই বিয়ে করব”। (Tehriro vasyleh, fourth edition, Qom, Iran, 1990)।
এমনকি একদিনের বয়সী শিশুর সঙ্গে যৌনতাকেও অনুমোদন দেয় ইসলাম। এভাবেই একজন মুসলমান একজন শিশুকে ধর্ষণ করে আনন্দ পায়। কারণ নবী এই কাজ করত। এটা তারা অনুসরণ করছে মাত্র। (তথ্যসুত্র)
বৈবাহিক ধর্ষণ
ইসলামের স্ত্রীর সম্মতির দরকার নেই। (মিশকাত, আরবি সংস্করণ বাবু’ন নিকা, পৃষ্ঠা-৬৭১)।
“যখন একজন তার স্ত্রীকে আহ্বান জানায়, তখন স্ত্রী যদি রান্না ঘরে থাকে, তবুও সে ডাকে সাড়া দিতে হবে।” (বুখারী, ৭ম খন্ড, বই-৬২, নম্বর ১২১)
নবী বলেন, “যদি একজন মানুষ তার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে চায়, আর স্ত্রী যদি তা প্রত্যাখ্যান করে, তখন ফেরেস্তারা ভোর পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে”। (৭ম খন্ড, বই-৬২, নম্বর-১২২)। নবী বলেন,
“যদি কোনো স্ত্রীলোক তার স্বামীর যৌন কামনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে ফেরেস্তারা তাদের ওপর লানৎ বর্ষণ করতে থাকে যতক্ষণ না সে তার স্বামীর কাছে নিজেকে সমর্পন করে”।
ফরাসী চুমু
আহমদ বিন হানমাল এরমত হাদিস সহ ইসলামের দলিল থেকে কমপক্ষে ২০টি উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায় যে, মোহাম্মদ বালক-বালিকাদের জিহ্বা চাটত। (বুট্রোস)
আবু হোরাইরা থেকে বর্ণিত, ‘মোহাম্মদ তার চাচাত ভাই আলীর দুই পুত্র হাসান হোসেনের জিহ্বা চাটত।’ ইবনে হানবলের মুসনাদ থেকে বর্ণিত, ‘মোহাম্মদ তার কন্যা ফাতেমার জিহ্বা না চেটে তিনি ঘুমাতেন না। তার বুকের সঙ্গে মুখ ঘসতেন নবী।’
উরু মৈথুন
Ref: www.islamic-fatwa.net Question 1809 [After the permanent committee for the scientific research and fatwahs reference number 1809 issued on 3/5/1453 and 7/5/1421 (Islamic calendar)]
“প্রিয় নবী বিয়ে করার পর শিশু আয়েশার উরুতে মৈথুন করতেন। কারণ তখন তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর, তখনো শিশু। এতো ছোট যে তার সঙ্গে সহবাস করার মত পরিস্থিতি তখনো তৈরি হয়নি। এই কারণে নবী তার পুরুষাঙ্গ আয়েশার দুই উরুর মাঝে রেখে হালকাভাবে ম্যাসেজ করতেন। এইভাবে আল্লাহর রাসুল তার যৌনাকাঙ্খাকে দমিয়ে রাখতেন। যা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।” (তথ্যসুত্র)
বহুগামীতা
নবী যখন মারা যান, তখন তার ছিল নয়জন স্ত্রী। কোরআন ইচ্ছামত বউ বদল করার অনুমোদন দিয়েছে। শুধু একটি শর্তে যে, বউ বদলাতে হলে তাকে কিছু উপহার দিলেই ল্যাঠা চুকে যাবে। (দেখুন ৪.২০)। সুরা আন নিসা এর ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে আরেক স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর ধনসম্পদ প্রদান করে থাকো, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ করো না। তোমরা কি অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্যে গোনাহর মাধ্যমে গ্রহণ করবে?”
রোজার মাসে রঙ তামাশা
আল কুরতুবি এবং সহিহ মুসলিম শরীফ, ৩৪ নং বই, এই হাদিস অনুযায়ী, “মোহাম্মদ রোজার মাসেও সহবাস করতেন, চুমো খেতেন এবং স্ত্রীদের সঙ্গে রঙ তামাশা করতেন”।
ঋতুমতি নারীদের সঙ্গে যৌনাচার
মাইমুনা থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল মাসিক চলাকালে তারস্ত্রীদেও ইজার পরিধান করার কথা বলতেন। (বুখারী, খন্ড-১, বই-৬, নাম্বার-৩০০)
নবীর একজন স্ত্রী থেকে বর্ণিত, ইকরিমাহ বলেছেন, নবীর একজন স্ত্রী বলেছেন, ‘যখন নবী তার মাসিক চলাকালীন স্ত্রীর সঙ্গে (যৌন সম্পর্কে মিলিত হতে) চাইতেন, তখন তিনি সেই স্ত্রীর গোপন অংশে এক টুকরা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেন। (আবু দাউদ, বই-১, নাম্বার-০২৭২)
আলী সুয়োতি লিখেছেন, আয়েশা বর্ণিত, মোহাম্মদ তাকে বলতেন, ‘এখানে এসো’, জবাবে তিনি বলতেন, কিন্তু হে আল্লাহর রাসুল, আমার এখন মাসিক চলছে। মোহাম্মদ বলতেন, ‘তোমার উরুদ্বয় উম্মোচিত করে দাও।’ তখন আয়েশা তাই করতেন আর নবীজী তার উরুর সঙ্গে নিজের গাল এবং বুক ঘষতেন।
মাসিকের রক্ত হালাল!
আখাম আল কোরান(তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা-৪৪৪), একজন স্ত্রীলোক এসে ঘোষণা দিল, সে একটি কূপ থেকে পানি তুলে আনতেন, সেই পানিতে মাসিকের রক্ত ছিল না কিন্ত মরা কুকুর এবং ময়লা আবর্জনা ছিল, সেই পানি মোহাম্মদকে পান করার জন্য দেওয়া হত।
সুনান আবু দাউদ, বই ১, নাম্বার ২৭০, উম্মুল মোমিনিন আয়েশা হতে বর্ণিত, “একরাতে তিনি আমার ঘওে ঢুকলেন। যখন আমার মাসিক চলছিল। তিনি বললেন, ‘আমার কাছে এস’। আমি বললাম, আমার এখন মাসিক চলছে। তিনি বললেন, ‘তোমার উরুদ্বয় উম্মোচিত করে দাও।’ সুতরাং আমি উভয় উরু উম্মোচন করে দিলাম। তখন তিনি আমার দুই উরুর ওপর তার গাল ও বুক রাখলেন।”
আবু দাউদ, বই ১, নাম্বার ৬৭, আবু সা’আদ আল খুদরি হতে বর্ণিত, “আমি শুনেছি, আল্লাহর রাসুলকে মানুষ জিজ্ঞেস করত, আপনার জন্য বাধ’আ কূপ থেকে পানি আনা হয়েছে। কিন্তু সেই কূপে মৃত কুকুর, মাসিকের কাপড় রয়েছে এবং মানুষ সেখানে মল মুত্র ফেলে। আল্লাহর নবী জবাব দিলেন, নিশ্চয় পানি বিশুদ্ধ, পানি কোনো কিছু দ্বারা দূষিত হয় না।”
উরুর ওপর মাথা রেখে কোরআন পড়া
সহিহ বুখারী হাদীস (খন্ড-৬, পৃষ্ঠ-২৭৪৪), আয়েশা হতে বর্ণিত, “তিনি বলেছেন, তার মাসিক চলাকালে নবীজী তার নগ্ন উরুর ওপর মাথা রেখে কোরআন পড়তেন”।
সহিহ বুখারী হাদীস (খন্ড-১, বই-৬ নাম্বার-২৯৬), আয়েশা হতে বর্ণিত, “আমার মাসিক চলাকালে নবীজী আমার উরুর ওপর হেলান দিয়ে কোরআন পড়তেন”।
উদ্ভট আচার
যে পথেই হোক আর যে ফর্মেই হোক, মুসলমান পুরুষদের জন্য আল্লাহ নারী নিয়ে স্ফুর্তি করাকে জায়েজ করে দিয়েছেন। দেখুন হাদিস কী বলে-
(২.২২৩) নারীরা তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত স্বরূপ, সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্য ক্ষেতে যাও এবং কর্ষণ কর। (সহিহ বুখারী, খণ্ড-৭, বই-৬২, নাম্বার-৮১),
উকবা থেকে বর্ণিত, নবী বলেছেন, “নারীদের গোপন অংশগুলো উপভোগ করার জন্য তোমাদের অধিকার দেওয়া হয়েছে।”
পুরানা সম্পর্ক
(সহিহ বুখারী, খণ্ড-৭, বই-৬২, নাম্বার-৪৮) হিসামের পিতা থেকে বর্ণিত, খাওলা বিনতে হাকিম, (যিনি মোহাম্মদের আন্টি ছিলেন:মুসনাদ আহমদ)। আয়েশা বলেছেন, “একজনের কাছে নিজেকে সমর্পন করতে এই নারীর এতটুকুও লাজলজ্জার বালাই ছিল না”।
একরাতের গল্প : সহিহ বুখারী, খণ্ড-৭, বই-৬২, নাম্বার-২৪
একদা এক নারী আসলেন নবীর কাছে, বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এসেছি আপনার কাছে নিজেকে সমর্পন করতে।
“একজন নারী নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করেছিল।” (সহিহ বুখারী, খণ্ড-৭, বই-৬২, নাম্বার-৫৪)
সা’আল বিন সা’আদ হতে বর্ণিত, “হে আল্লাহর নবী,‘ আমি এসেছি আপানার কাছে নিজেকে সমর্পন করতে”। (সহিহ বুখারী, খণ্ড-৭, বই-৬২, নাম্বার-৫৮)
“নবীকে ত্রিশ পুরুষের সমান যৌনক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।” নবী একরাতেই ১১ স্ত্রীর কাছে গমন করতেন। (সহিহ বুখারী, খণ্ড-১, বই-৫, নাম্বার-২৬৮)
যৌনদাসী
ইসলামে দাসীর সঙ্গে সহবাস করা হালাল, এমনকি কেউ যদি অর্থের বিনিময়ে নিজেকে সমর্পন করে, তার সঙ্গেও সহবাস করা চলে। যাকে মুতা বিয়ে বলে। (আয়াত ৪.৩, ৪.২৪, ২৩.৬, ৩৩.৫০, ৭০.৩০)
নিজের একজন দাসীকে ইচ্ছামত ভোগ করার জন্য নবী তার জামাতা আলীকে উপহার দিয়েছিলেন। ওই দাসীর নাম রায়তাহ বিনতে হিলাল। এছাড়া উথমান বিনতে আফ্ফান এবং জায়নব বিনতে হায়ান নামে আরো দুই দাসিকেও উপহার দিয়েছিলেন নিজের জামাতাকে। এমনকী শ্বশুর উমার বিন খাত্তাবকেও আরেকজন যৌনদাসী উপহার দিয়েছিলেন, তার নাম জানা যায় নাই। উমার আবার সেই যৌনদাসী তার পুত্র আব্দুল্লাহকে দিয়েছিলেন। মোহাম্মদের এইসব ‘উপহার’ তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা সানন্দচিত্তে গ্রহণ করেছিলেন। (তাবারি’র ইতিহাস, ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯-৩০)
এছাড়া খাইবার অভিযান ও গণহত্যা শেষে লুটের মাল (গণিমতের মাল) হিসেবে সাফিয়া নামে এক সুন্দরী ইহুদী নারীকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে বিয়ে করেছিলেন মহানবী। সাফিয়ার স্বামী, বাবা ও ভাইসহ প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।
সহিহ বুখারী, খণ্ড-৩, বই-৪৬, নাম্বার-৭১৭) ইবনে আ’ন থেকে বর্ণিত, নবী অকস্মিক বানু মুস্তালিক গোত্রের ওপর হামলা চালালেন। এসময় তাদের কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না, তারা তাদের গবাদি পশুকে পানি খাওয়াচ্ছিলেন। কোনোরকম সতর্কবার্তা না দিয়েই অপ্রস্তুত জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। হামলা চালিয়ে তাদের বয়স্কদের হত্যা এবং নারী ও শিশুদের ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই সময় নবী পেয়েছিলেন জুয়াইরিয়াহ নামে এক নারী। এই অভিযান থেকে নিজের ভাগে পড়া নারীদের মোহাম্মদ তার জামাতা ও শশুড়কে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।
তাবারি’র ইতিহাস, ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৯-৩০
উপরের লেখা থেকে এটাই বোঝা যায় যে, আসলেই ইসলাম একটি মজা লোটার ধর্ম। পাশাপাশি এই ধর্ম হল যৌনতা সংশ্লিষ্ট ধর্ম। এটা দেখলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না যে, যৌন সন্ত্রাসীরা একটু সুযোগ পেলেই লুফে নেবে ‘শান্তির ধর্ম’ ইসলাম।