দুঃখিত মিস্টার জব্বার, আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পারলাম না।
কারণ, আপনি একজন চরম মিথ্যাবাদী, কপট ও ধান্দাবাজ স্বার্থপর ‘মানুষ‘। মানুষ হিসেবে কেমন সেটা আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা দেখে সহজে বোঝা মুশকিল। বিশেষ করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো মানুষকেও আপনি যেভাবে ধোকা দিতে সক্ষম হয়েছেন সেটা দেখেই সহজে বোঝা যায় আপনি আপনার ধান্দাবাজি পূরণে সবকিছু করতে সক্ষম। আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের এবাউটে লিখে রেখেছেন “আমি এক স্বপ্নবাজ মানুষ। কম্পিউটারে বাংলা লেখার স্বপ্ন দিয়ে শুরু-শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে এর শেষ“। সত্যিই আপনি একজন স্বপ্নবাজ মানুষ, তবে সেই স্বপ্ন হলো আপনার স্বার্থ চরিতার্থ ও ধান্দাবাজির স্বপ্ন পূরণ করার স্বপ্ন।
আজকে অনলাইন জগতে আমরা যারা বাঙলায় লেখালেখি করি বা করছি তারা সকলেই আপনাকে ঘৃণা করি। হাঁ, ঘৃণা করি। কারণ আপনি আমাদের কারুর নন, আপনি কেবল আপনার নিজের জন্যই। যেহেতু আপনি আমাদের কারুরই নন, সেহেতু আপনাকে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির মন্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে বা মেনে নিতে পারি না। যেমন মেনে নিতে পারিনি স্বাধীনতা বিরোধী মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত রাজাকার জামাতে ইসলামির নিজামী ও মুজাহিদের মন্ত্রীত্বকে।
আপনাকে এজন্যই ঘৃণা করি, আপনি আমাদের লেখালেখি বন্ধ কিংবা ধ্বংস করার অপচেষ্টা করেছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় অনলাইনে বাঙলা টাইপ করার মুক্ত সফটঅয়্যার (Open Source Software) ‘অভ্র‘, এন্ড্রয়েড মোবাইলে বাঙলা টাইপ করার অ্যাপস ‘রিদমিক কি-বোর্ড‘ নিষিদ্ধ এবং হত্যা করার অপচেষ্টা করেছিলেন।
মিস্টার জব্বার আপনার কী মনে আছে ২০১০ সালের কথা? তথাকথিত ‘কপিরাইট‘ এর ‘দাবি’ করে আপনি অনলাইনে বাঙলা টাইপ করার একমাত্র সফটঅয়্যার ‘অভ্র‘র বিরুদ্ধে মামলা করে অভ্র’র আপডেইট বন্ধ করেছিলেন। নিজের পেশিশক্তির ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভ্রটিমকে সীমাহীন হয়রানি করেছিলেন। তাদের ওপরে এমন কোনো আক্রমণ নেই যা আপনি করেন নি। দেশে-বিদেশে সব জায়গায় আপনি আপনার ক্ষমতাকে প্রয়োগ করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে গেছেন।
আমরা যারা অনলাইনে বাঙলা টাইপ করে লেখালেখি করি আমাদের সকলেই অভ্র’র ওপরে নির্ভরশীল এবং অভ্র ছাড়া আমরা কেউই অনলাইনে বাঙলা লেখালেখি করতে পারতাম না অথচ আপনি আমাদের এই লেখালেখি বন্ধ করার অপচেষ্টা করেছিলেন। এর পিছনের কারণ কেবলমাত্র টাকা কড়ি। বাঙলা ভাষাকে ব্যবহার করে কেউ টাকা কড়ি কামানোর মতলব করতে পারে সেটা একমাত্র আপনার মতো জব্বারের পক্ষেই সম্ভব। অভ্র টিম বাঙলা ভাষাভাষী মানুষদের লেখালেখির জন্য বাঙলা টাইপিং সফটঅয়্যার বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছিল বলে আপনার তা সহ্য হয় নি। আপনি চেয়েছিলেন বাঙলা টাইপ করলেই সেখান থেকে যেন আপনি কাড়ি কাড়ি টাকা লুটপাট করতে পারেন। অভ্র’র কারণে আপনার সেই ধান্দাবাজি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল। যে কারণেই আপনি তথাকথিত ‘কপিরাইট‘ মামলা করেছিলেন, যে কারণেই আপনি গুগল প্লেস্টোর থেকে অভ্র’র এন্ড্রয়েড ভার্সনে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাঙলা টাইপিং অ্যাপস ‘রিদমিক‘ সরানোর জন্য গুগলের কাছে ক্লেইম করেছিলেন এবং প্লেস্টোর থেকে তা সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করেছিলেন।
মিস্টার জব্বার, আপনি যে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হবেন সেটা অনেক আগেই জানতে পেরেছিলাম। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও উদ্দেশ্যর সাথে আপনার উদ্দেশ্যের অভিন্ন আদর্শগত মিল রয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থেই তাদের আপনার মতো বদমাইশ লোক দরকার। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের জন্য যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইসিটি এক্ট ৫৭ ধারার মতো কালো আইন দিয়েও মুক্তচিন্তক ও ব্লগারদের লেখালেখি থামাতে পারছে না, থামাতে পারছে না অন্যান্য সকল প্রকার কালাকানুন জারী করেও। এসময় মুক্তমনা ব্লগারদের লেখালেখির ওপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য আপনার মতো একজন জোচ্চুর, বদমাইশ লোক আওয়ামী লীগের বড্ড প্রয়োজন।
ফেইমসিকার জব্বার সাহেব, দীর্ঘ কয়েকবছর পিসি স্টার্ট করার সময় আমি মনিটরের দিকে তাকাতে পারতামনা। কারণ প্রতিবার কম্পিউটার স্টার্ট হবার সময় একজন ফেইমসিকার বদমাইশ লোকের ছবি দেখলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়তাম। পৃথিবীর কোনো সফটঅয়্যার কোম্পানি আপনার মতো বুইড়া ভামের ছবি সফটঅ্যয়ার স্টার্ট করার সময় লোকজনকে প্রদর্শন করে এরকম একপিস উদাহরণ দেখাতে পারবেন? জানি পারবেন না। পৃথিবীতে আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যে কীনা সফটঅয়্যারের সাথে নিজের দাঁত ক্যালানো ছবি জুড়ে দিয়ে অর্গাজম ফিল করেন। আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর কিছু না জেনেও নিজেকে প্রোগ্রামার বা উদ্ভাবক দাবি করে বাহবা নিতে চান। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী অপারেটিং সিস্টেমের জনক মাইক্রোসফট এর বিল গেটস চাইলে নিজের নাম ছবি দিতে পারতেন, তিনি ছবি তো দূরের কথা নামও নেন নাই। ময়ুরের পেখম লাগালেই যেমন কাক ময়ুর হতে পারে না, তেমনি আইসিটি এক্সপার্ট এর পেখম লাগালেই জব্বার সাহেব আইসিটি এক্সপার্ট হতে পারে না।
আপনি যে কলেজে স্নাতকের ছাত্র ছিলেন সেই ঢাকা কলেজে আমিও ছাত্র ছিলাম। ঢাকা কলেজে কলা বিভাগের ছাত্র হয়ে আলাদিনের চেরাগের যাদুতে এক রাতে আপনি হয়ে গেলেন ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানী‘। আপনার কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়ার পিছনের যাদুমন্ত্রটা জানতে ইচ্ছে হয়। সাইয়েন্সের ‘স’ না বুঝলেও আপনি নিজেকে সারাক্ষণ ‘তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ‘ হিসেবে প্রচার প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন। সরকারের দালালি ও তেলবাজি করে কম্পিউটার কাউন্সিলের সর্বোচ্চ চেয়ারটাও দীর্ঘদিন দখলে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। দেশের আইটি সেক্টরের বিভিন্ন জায়গায় দখলবাজি করে আপনি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এসব আমরা ভুলিনি, ভুলবোও না। শেষতক আপনাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। আপনার মতো বদমাইশ, ফেইমসিকার ও ধান্দাবাজ লোককে যারা আইটি এক্সপার্ট মনে করে আইসিটি মন্ত্রী বানাতে পারে তাদের সরকার পরিচালনার আদর্শ, যোগ্যতা ও উদ্দেশ্য পরিস্কার বোঝা যায়।
সারাক্ষণ আমি-আমি-আমি করা অর্থলোভী, মিথ্যাবাদী একজন ধান্দাবাজ মানুষ হিসেবে আপনি আজ মন্ত্রী হতে পেরেছেন বটে, তবে কোনদিনই আপনি আমাদের হতে পারবেন না। আমরা আপনাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। যেমন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুই যুদ্ধাপরাধী মন্ত্রীকে। বাংলাদেশে মন্ত্রী হওয়া ডালভাতের মতো সহজ ব্যাপার, কিন্তু সত্যিকার কিংবদন্তী হওয়া কঠিন। অন্যের কোড করা সফটঅয়্যারকে যে লোক চুরি করে মিথ্যা কথা বলে আইটি এক্সপার্ট সাজতে পারে তার পক্ষে বাংলাদেশের মন্ত্রী হওয়া তেমন কোনো কঠিন কাজ যে নয় সেটা একজন মূর্খ লোকও জানে।
বিজয় কি-বোর্ড নিয়ে কাগুর মিথ্যাচার:
নিজেকে বিজয় বাংলা কি-বোর্ডের জনক দাবি করলেও মানবিক আর বাংলায় পড়ুয়া জব্বারের দ্বারা যে কখনোই বিজয় কীবোর্ড তৈরি করা সম্ভব নয় সেটা সবারই জানা। এর আগে বিভিন্নসময়ে বিজয় কি-বোর্ড তৈরির আসল গোমরও ফাঁস হয়েছে। জব্বার কাগুর পক্ষে যে কি-বোর্ডের লে-আউট তৈরি সম্ভব নয়, সেটা নিয়ে অনেকেই তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো তিনি কখনোই সেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন নি, এবং কোনদিনই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো যোগ্যতা তাঁর নেই। বাংলাদেশের আইসিটি অঙ্গনে মোস্তফা জব্বার একজন অতি মুনাফালোভী, ঠক, জোচ্চুর ও প্রতারক হিসেবে পরিচিত।
বস্তুত, বিজয় কি-বোর্ডের জনক দাবি করলেও এর প্রস্তুতকারক কোনোভাবেই মোস্তফা জব্বার নন। বিজয় কি-বোর্ড বানিয়েছিলেন Bangladesh University of Engineering and Technology, বুয়েটের ৯৪ ব্যাচের CSE বিভাগের ছাত্র মুনিরুল আবেদিন পাপ্পানা, যাকে বুয়েটে ৪র্থ বর্ষে পড়া অবস্থাতেই বিশ্বখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন চাকুরী দিয়ে আমেরিকা নিয়ে যায়। পাপ্পানার কাজের পুরো পারিশ্রমিকটুকুও পরিশোধ করেননি জব্বার কাগু। পাপ্পানার বানানো বিজয় ২০০০-কে শুধু খোলস পাল্টে আরো ৩ বছর বিজয় ২০০৩ নামে চালানো হয়। জব্বার কাগুর প্রতারণার বিষয়টি আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন পাপ্পানা। তাই তিনি বিজয় কি-বোর্ডের প্রোগ্রামে ছোট্ট একটি বার্তা সেট করে গিয়েছিলেন। যা বিজয় ২০০০সহ পুরাতন এবং আদি সংস্করণে ঢুকলেই শো করতো।
দেখুন ভিডিও:
অসম্ভবরকম অর্থ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে অন্যজনের তৈরি করা বিজয় কি-বোর্ডের প্যাটেন্ট নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন জব্বার। এমনকী তাঁর মিথ্যা কপিরাইট ক্লেইমের জন্য গুগল প্লেস্টোর থেকে রিদমিক কি-বোর্ড সরিয়ে দিয়েছিল।
মোস্তফা জব্বারের কাছে গুগল তাদের এন্ড্রয়েড সিস্টেমের সাথে বিজয়কে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল নতুন প্রজন্মকে মোবাইল ফোনে বাংলায় লিখতে পারার সুবিধা করে দিতে। কিন্তু মুনাফালোভী জব্বার কাগু গুগলের কাছে অতি উচ্চমূল্য দাবি করায় গুগল মেহেদি হাসান খান ও তার টিম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘অভ্র’কে বিনামূল্যে মোবাইল ফোনে উন্মুক্ত করে দেয়। এতে অভ্রের জনপ্রিয়তা ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে থাকে। তা সহ্য করতে না পেরে মুনাফালোভী জব্বার কাগু কপিরাইট মামলা করে মেহেদি হাসান খান ও তার টিমের বিরুদ্ধে। তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে দাবি করেন, অভ্র একটি পাইরেটেড সফটওয়্যার, যা বিজয় হ্যাক করে করা হয়েছে এবং এর নির্মাতা একজন হ্যাকার।
কাগুর উদ্দেশ্য ছিল অনলাইনে বাঙলা কি-বোর্ডের একচ্ছত্র মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করে একাই মনোপলি ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মুনাফা অর্জন করবেন, কাউকে অংশীদার করবেন না। কিন্তু অভ্র’র উপস্থিতি তার ব্যবসায় বাধা হয়ে দাড়ায়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যখন ভোটার আইডি কার্ড তৈরির কাজে বিজয় ব্যবহার না করে অভ্র ব্যবহার করলো, তখন জব্বার কাগুর গায়ে যেন আগুন জ্বলতে থাকে। এসময় তিনি সরকারকে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিজয় কি-বোর্ড লে-আউটের কপিরাইট তিনি নিজের নামে করিয়ে নেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর পাশাপাশি নিজের খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে চালিয়ে যান অভ্রর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার।
সচেতন মানুষ হিসেবে একজন চাটুকার, তেলবাজ, ধান্দাবাজ, মিথ্যাবাদী, অর্থলোভী মোস্তফা জব্বারের মন্ত্রী হওয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না। তাই আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পারছি না মিস্টার জব্বার। আপনার জন্য রইল একরাশ ঘৃণা ও করুণা।
জানুয়ারী ৩, ২০১৮; ৭:২৯ অপরাহ্ন
তার মন্ত্রী হওয়াতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধে যুক্ত থাকার নজির রয়েছে।
জানুয়ারী ৪, ২০১৮; ৬:৪৯ অপরাহ্ন
খুব দরকারি লেখা। এই প্রজন্মের সত্য জানা উচিত।
এরকম একজন কপট লোক বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রী হয়েছেন দেখে অবাক হলাম। আশাকরি সরকার এরকম বিতর্কিত লোককে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন।
জানুয়ারী ৭, ২০১৮; ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
জব্বার কাগু, খায় হাগু
https://s18.postimg.org/qocri2sfd/image.jpg
ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২; ৭:৩৮ অপরাহ্ন
আর আমি উনার কিছু বিকৃত যৌন চাহিদার ছবি দেখেছি
জানুয়ারী ১৭, ২০২৩; ৩:১১ অপরাহ্ন
আসলে কিছু মানুষ জন্ম থেকেই অমানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। এদেরকে বলে লাভ নাই। অন্য মানুষের সফলতা দেখে যার চুলকায় সে আর যাই হোক ভাল মানুষ হতে পারে না। জব্বার কাগুর এই কাহিনী আরো আগে থেকেই জানা ছিল। তবুও বিস্তারিত জানলাম। অন্যের জ্ঞ্যানকে কপি করে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া কাগু কবে মানুষ হবে সেটা অজানা।
জানুয়ারী ১৯, ২০২৩; ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
এনার মতন সুবিধাবাদী লোক বাংলাদেশে আর একটাও আছে কিনা সন্দেহ। হরহামেশাই এই ব্যাক্তি নিজের বড়াই এ ব্যাস্ত থাকে। অভ্র যেখানে বিনামূল্যে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করেন অন্যদিকে এই জব্বার সাহেব ভাষাকে উচ্চ দামে বিক্রি করে নিজেকে দেশপ্রেমিক পরিচয় দিতে চান । এ ধরনের লোক যতদিন না পর্যন্ত চেয়ার থেকে নামবেন ততদিন দেশের আইসিটি খাত এর অবস্থা বেহাল থাকবে। Amazon,paypal এর মত বড় বড় কোম্পানি এসব সুবিধাবাদী লোক এর জন্যে আসতে চাই না। আর গুগল এর মত বড় প্রতিষ্ঠান তাদের সকল সুবিধাও বাংলাদেশে দিতে চাই না এসব কারণে। একটা সময় শ্রদ্ধা করতাম তাকে এখন দেখলেই ঘৃনা হয়।
হয়তোবা বিশ্বে তিনিই প্রথম “KEYBOARD WAR” চালু করেছেন।
জানুয়ারী ২০, ২০২৩; ৬:০৫ অপরাহ্ন
G board থাকতে বিজয় ব্যাবহারে প্রশ্নই আসে না।